গত দুই কার্যদিবস সার্বিক শেয়ারবাজারে দরপতন হলেও সিংহভাগ মিউচুয়াল ফান্ডের দাম বাড়ে। তবে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) অধিকাংশ মিউচুয়াল ফান্ডও দরপতনের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। সেই সঙ্গে বেশিরভাগ ভালো প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমেছে। ফলে সার্বিক শেয়ারবাজারেও দরপতন হয়েছে।
Advertisement
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। তবে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। এতে বাজারটিতেও মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। ডিএসইর মতো বাজারটিতেও লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে।
গত দুই দিন দাম বাড়ার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মিউচুয়াল ফান্ড দাপট দেখালেও বৃহস্পতিবার ডিএসইতে মাত্র ৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২০টির এবং ১০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ভালো কোম্পানি বা ‘এ’ গ্রুপের ২২০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৬৭টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১২৫টির এবং ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি মানের বা ‘বি’ গ্রুপের ৩৭টি কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে। আর কমেছে ৪০টি এবং ৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
Advertisement
পচা বা ‘জেড’ গ্রুপের ৯৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৪টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৩৪টির এবং ২৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সবখাত মিলে ১৩৮টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯৯টির। আর ৬০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২০১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ১৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। তবে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বেড় ১ হাজার ৮৮৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
প্রধান মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৯৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৮২ কোটি ৫১ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ১৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
Advertisement
এ লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে শাইনপুকুর সিরামিকের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ২০ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা একমি পেস্টিসাইডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকার। ১২ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ওরিয়ন ইনফিউশন, ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিং স্টেশন, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল, ফু-ওয়াং ফুড এবং গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রো।
অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৮ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৯টির এবং ২৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
এমএএস/এমআইএইচএস