ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থেকে ঢাকায় এসেছেন ইসমাইল ও রতনা আক্তার দম্পতি। আসার সময় টিকিট না পাওয়ায় স্টেশনের এক অপরিচিত ব্যক্তি থেকে ১টি টিকিট কেনেন তারা। একটি টিকিটের মূল্য ২১০ টাকা হলেও তাদের দিতে হয় ৪০০ টাকা। এক টিকিটে দুজন ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশন পর্যন্ত আসার পর টিটিকে দেন ১২০ টাকা। পরে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের বহির্গমন পথের সামনে পুনরায় টিকিট চেকের পর জরিমানা ও অতিরিক্ত ভাড়াসহ দিতে হয় আরও ১৩০ টাকা।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুর ২টায় সরেজমিনে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে দেখা গেছে এমন ঘটনা।
কমলাপুর রেলস্টেশনে দায়িত্বরত টিসি জানান, ইসমাইল-রতনা দম্পতি কসবা থেকে যে টিকিট সংগ্রহ করেছেন সেটি মূলত একটি অ্যাডাল্ট এবং একটি চাইল্ড টিকিট। টিকিটের প্রিন্ট কপি স্ক্যান করে এটি দেখা গেছে। এখন উনারা যেখান থেকে টিকিট ক্রয় করেছেন সেই কালোবাজারি চক্র একসঙ্গে অ্যাডাল্ট ও চাইল্ড মিলিয়ে দুটি টিকিট অনলাইন থেকে ক্রয় করেছেন। এরপর কম্পিউটারে এডিট করে একটি টিকিট ৪০০ টাকায় (যাত্রীর ভাষ্যমতে) বিক্রি করেছেন। আরেকটি হয়তো এডিট করে বিক্রি করবেন।
আরও পড়ুন:
Advertisement
'যেহেতু টিকিটের স্ক্যান ফলাফলে দুটি টিকিট ক্রয়ের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে... তবে একজন চাইল্ড টিকিট সংগ্রহ করায় উনার অ্যাডাল্ট টিকিটের জন্য অতিরিক্ত অর্থ দিতে হবে। আর জরিমানা ৬৫ টাকা। সব মিলিয়ে ১৩০ টাকা আদায় করেছি। অর্থ আদায়ের রশিদও দিয়েছি।'
কসবা থেকে আসা যাত্রী ইসমাইল বলেন, আসার সময় প্রথমে টিকিট পাইনি। আমার স্ত্রী এত দূরের পর দাঁড়িয়ে আসতে পারবে না। এজন্য বেশি দাম দিয়ে একটি টিকিট কিনেছি। সারা পথ আমি দাঁড়িয়ে আসছি। বিমানবন্দর স্টেশনে একটি টিকিট না থাকার কারণে ১২০ টাকা টিটিকে দিয়েছি। এখন আবার ১৩০ টাকা দিলাম।
এনএস/এমএইচআর/এমএস
Advertisement