হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম তাঁর পুত্র ইসমাইল আলাইহিস সালামকে সঙ্গে নিয়ে আল্লাহর হুকুম পালনার্থে কা`বা ঘর নির্মাণের মতো শুভ কাজে লিপ্ত রয়েছেন। তথাপিও মনে মধ্যে ভয় যে, তাদের কাজ যথাযথ আদায় হচ্ছে কিনা। এ ভয়ে তাঁরা উভয়ে আল্লাহর নিকট তাদের কাজের কবুলিয়াতের জন্য দোয়া করেছেন। যা কুরআন আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর জন্য তুলে ধরেছেন। আল্লাহ বলেন-আর স্মরণ করো, (হজরত) ইবরাহিম ও ইসমাইল (আলাইহিস সালাম) যখন এ (কা’বা) গৃহের প্রাচীর নির্মাণ করছিল, তখন তারা দোয়া করে বলেছিল, ‘হে আমাদের রব! আমাদের এ খিদমত কবুল করে নাও। তুমি সবকিছু শ্রবণকারী ও সবকিছু জ্ঞাত। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১২৭)এ আয়াতের কথা স্মরণ করে হজরত অহিব বিন অরদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি খুব বেশি কাঁদতেন এবং বলতেন, হায়! আল্লাহ তাআলার প্রিয় বন্ধু এবং নবি হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম আল্লাহর কাজ তাঁরই হুকুমে করছেন, তাঁর ঘর তাঁর হুকুমেই নির্মাণ করছেন; তথাপিও ভয় করছেন যে, না জানি আল্লাহর নিকট এটা না মঞ্জুর হয়।বায়তুল্লাহ নির্মাণকালীন সময়ে আল্লাহর দুই পয়গাম্বর হজরত ইবরাহিম ও হজরত ইসমাইল আলাইহিস সালামের অন্তরে অবস্থা, আল্লাহ তাআলার প্রতি তাদের ভয়-ভীতি, তাদের ইখলঅছ ও আন্তরিকতা এবং বাইতুল্লাহ নির্মাণের এ সাধনা কবুল করার জন্য আল্লাহ তাআলার দরবারে তাঁদের দোয়া- সবকিছুই এ সংক্ষিপ্ত আয়াতে বর্ণিত হয়েছে।আয়াতের শিক্ষাআল্লাহর নামে কেউ কোনো কাজ করলেই যে তা কবুল হবে এমন নয়, বরং কবুল করা না করা আল্লাহ তাআলার মর্জি। আর আল্লাহ তাআলার সুমর্জি পাওয়ার আদব হলো সর্ব প্রথম নিয়তকে সঠিক করে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কাজ করা, কাজ করে গর্ব না করা, আত্ম-প্রচার না করা।কাজের ব্যাপারে সদা সর্বদা ভীত-সন্ত্রস্ত থাকা। কারণ সাধনা মাত্রই সার্থক হবে তা নয়, বরং ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। আর এজন্য ভয়-ভীতি, বিনয় ও মিনতি নিয়ে আল্লাহ তাআলার আলিশান দরবারে শুভ কাজের কবুলিয়াতের জন্য দোয়া করা।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যে কোনো শুভ কাজ করার সময় হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম ও হজরত ইসমাইল আলাইহিস সালামের শিখানো এ দোয়ার মাধ্যমে কল্যাণ কামনা করা। যা আল্লাহ তাআলা কুরআনে তুলে ধরেছেন। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকল শুভ আবেদন-নিবেদন কবুল করুন। আমিন।এমএমএস/এবিএস
Advertisement