খুলনার বাজারে বেগুন, শসা ও লেবু চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেবুর দাম বেড়েছে পাঁচগুণ। খুচরা বাজারে একটি লেবু বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়। রমজানকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়েছে।
Advertisement
রোববার (২ মার্চ) খুলনা নগরীর মিস্ত্রিপাড়া, জোড়াকল বাজার, নতুন বাজার, গল্লামারি বাজার ও পাইকারি বাজার ঘুরে এমনটা জানা গেছে।
পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারি বাজারে ১০০ লেবু ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিপ্রতি বেগুন ৬০-৭০ টাকায় এবং শসা ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে খুচরা পর্যায়ে লেবুর ধরণ ও আকারভেদে ৫০-৬০ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে। বেগুন আকারভেদে ৯০-১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শসা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে।
নতুন বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ বলেন, গত এক সপ্তাহ হলো পাইকারি বাজারে লেবু, শসা ও বেগুনের দাম বেড়েছে। এক সপ্তাহ আগে এক হালি লেবু ১৫ টাকায় বিক্রি করেছি। এখন এক হালি লেবু ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি করছি।’
Advertisement
গল্লামারি বাজারের বিক্রেতা সবুজ শিকদার বলেন, বেশি দামে লেবু ক্রেতারা নিতে চান না। তাই লেবু কম এনেছি। সবকিছুর দাম কিছুটা বেড়েছে। আমরা পাইকারি বাজার থেকে ক্রয় করে সামান্য লাভে বিক্রি করি।
মিস্ত্রিপাড়া বাজারে আসা ক্রেতা শফিকুল আলম বলেন, ‘রোজার মাসে বেগুন, শসা ও লেবুর চাহিদা বেশি থাকে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দাম বৃদ্ধি করেছেন ব্যবসায়ীরা। সাধারণ মানুষরা শুধু ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হই।’
নিরালা এলাকার বাসিন্দা আবু বক্কর বলেন, ‘রোজায় বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত পরিবার লেবুর শরবত দিয়ে ইফতার করে। কিন্তু এবার লেবুর দাম বেশির কারণে ইফতার থেকে লেবুর শরবত বাদ দিতে হবে। এক হালি লেবুর দাম ডিমের দামের থেকেও বেশি। বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের সুনজর দেওয়া দরকার।’
এদিকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, বেগুন, শসা ও লেবু চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। এজন্য দাম বেড়েছ। শীতকালীন সবজি শেষ হচ্ছে। বেগুন, শসার ও লেবুর সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে।
Advertisement
এমএন/জেআইএম