মতামত

দুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে উপকূল। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস এবং গাছ ভেঙে ও বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়ে উপকূলীয় সাত জেলায় ২৪ জন নিহত হয়েছে। ভেসে গেছে চিংড়ি ঘের, লবণের মাঠ। গবাদি পশুও মারা গেছে। বেড়িবাঁধ ও রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অধিকাংশ এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে দুর্গত লোকজনের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুত ত্রাণ পৌঁছানোই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে। গণমাধ্যমে খবর এসেছে ক্ষয়ক্ষতি এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া শুকনো খাবারেরও  রয়েছে অপ্রতুলতা। তাছাড়া অনেক এলাকার ঘরবাড়ি ৬/৭ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় এখনো রান্না করার মতো অবস্থা তৈরি হয়নি। অনেকে এখনো ঘরবাড়িতে পৌঁছাতে পারেনি। ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ায় খোলা আকাশের নিচে রয়েছেন অনেকেই। তাছাড়া লবণাক্ত ও দূষিত পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। খাবার স্যালাইনসহ বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। ওষুধপত্রেরও ব্যবস্থা করতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উপকূলবাসীকে রক্ষার জন্য নিতে হবে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ। প্রয়োজনীয় সাইক্লোন সেন্টার থাকতে হবে। এছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলের ঘরবাড়ি  দুর্যোগ সহনীয়ভাবে তৈরি করা যায় কিনা এ নিয়েও ভাবতে হবে। তবে এই সময়ে সবচেয়ে যেটা জরুরি সেটা হচ্ছে ত্রাণ ও পুনর্বাসনে দুর্গতদের সহায়তায় এগিয়ে আসা। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষজন যাতে আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে সেজন্য নিতে হবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। ত্রাণ কার্যক্রমে কোনো অনিয়ম যেন না হয় সেটি নিশ্চিত করাটাও জরুরি। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সমাজের বিত্তবানরাও এ ব্যাপারে এগিয়ে আসবেন বলে আমাদের প্রত্যাশা। এইচআর/এমএস

Advertisement