ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের শরণখোলায় বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে বলেশ্বর নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানির চাপে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকাবাসী দাবি করেন। তবে শনিবার দুপুরের দিকে ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে বাগেরহাট জেলায় কোনো হতাহতের ঘটনা হয়নি। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঘূর্ণিঝড়ে কোথাও কোনো ক্ষতি হয়নি। রোদ উঠেছে, উপকূলের মানুষ স্বাভাবিকভাবে তাদের কর্মকাণ্ড শুরু করেছে।বেড়িবাঁধে ফাটলের বিষয়ে তিনি বলেন, শরণখোলার ওই বেড়িবাঁধটি পুরাতন। আগে থেকেই সেটি ক্ষতিগ্রস্ত ছিল। ওই বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পানি উন্নয়ন বোর্ড ইতোমধ্যে মেরামত করেছে। নদীর পানি স্বাভাবিক থাকায় এখন ভয়ের কিছু নেই। ঘূর্ণিঝড়ের আগে মংলার চিলা ইউনিয়নের ৭ হাজার মানুষ সেখানকার ৭টি সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া সুন্দরবন ও বলেশ্বর নদী সংলগ্ন শরণখোলা ও মোড়েলগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ১৩ হাজার মানুষ সেখানকার ১৫টি সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়। তারা এখন ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। শওকত আলী বাবু/এসএস/আরআইপি
Advertisement