নোয়াখালীর চাটখিল থানায় জাগো নিউজের প্রতিনিধি ইকবাল হোসেন মজনুর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করা হয়েছে। সংবাদ প্রকাশের জেরে ক্ষোভে এমনটি করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিবাদীর। এ নিয়ে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
Advertisement
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মামলার বিষয়টি জানাজানি হয়। এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি চাটখিল উপজেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আলম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুজবে চাটখিল থানার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বানসা বাজারে পিস্তল, ককটেলসহ দেশীয় অস্ত্র হাতে মিছিল করেন ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ৮৪ জনকে আসামি করে শ্রমিকদল নেতা মাসুদ আলম থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি ইকবাল হোসেন মজনুকে ৫৫ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
সাংবাদিক ইকবাল হোসেন মজনু বলেন, গত ২১ জানুয়ারি জাগো নিউজে নোয়াখালী তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণে অনিয়ম নিয়ে জাল সনদে ১৫ কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নির্মাণে অনিয়ম শীর্ষক জালিয়াতির সংবাদ প্রকাশ করি। এ নিয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তর তদন্ত কমিটিও গঠন করে। সেই অনিয়মে জড়িতরা শ্রমিকদল নেতাকে টাকা দিয়ে হয়রানি করতে পরিকল্পিতভাবে আমাকে ওই মামলায় আসামি করেছে। আমি গত এক বছরেও চাটখিল এলাকায় যাইনি।
Advertisement
নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আলমগীর ইউসুফ বলেন, অনিয়মকারীরা নিজেদের দোষ আড়াল করতে অতীতের মতো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলার আশ্রয় নিয়েছে। তবে এসব মামলা দিয়ে সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করা যাবে না। আমি সাংবাদিক ইকবাল হোসেন মজনুর বিরুদ্ধে মামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন- জাল সনদে ১৫ কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নির্মাণে অনিয়ম নোয়াখালী তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণে অনিয়ম তদন্তে কমিটিবাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির (বাসাস) মহাসচিব মনিরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকদের টুঁটি চেপে ধরতেই একজন পেশাদার সাংবাদিককে এ ধরনের মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। অনতিবিলম্বে এ মামলার আসামি থেকে সাংবাদিক মজনুর নাম প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
মামলার বাদী মাসুদ আলম বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের পর আমি মামলা দায়ের করেছি। তবে সব আসামিকে আমি চিনি না। থানায় বসে নেতারা এজাহারে স্বাক্ষর দিতে বলেছে। আমি দিয়েছি।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাংবাদিককে আসামি করার বিষয়টি পরে জেনেছি। পাবলিক মামলা দিয়েছে। এখানে যাচাই-বাছাইয়ের সুযোগ ছিল না। তদন্তে কেউ নির্দোষ হলে তিনি মামলা থেকে বাদ যাবেন।
Advertisement
পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, বিষয়টি কেন হলো তা চাটখিল থানায় খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইকবাল হোসেন মজনু/এফএ/জেআইএম