ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। এতে পটুয়াখালীর দশমিনায় ঘর চাপায় নয়া বিবি (৫২) নামে এক বৃদ্ধা মারা গেছেন। শনিবার সকালে দশমিনার সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এদিকে, উচ্চ জোয়ারে পটুয়াখালীর কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী ও গলাচিপা উপজেলায় বেড়িবাঁধ ভেঙে বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে এসব এলাকার কয়েক হাজার মানুষ, গবাদী পশু, হাঁস-মুরগীসহ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন।চম্পাপুর ইউপির দেবপুরের ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা জানান, চম্পাপুর ইউপির ৫৪ নং বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দক্ষিণ দেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বেড়িবাঁধ ভেঙে এসব এলাকার ২ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। ওই এলাকায় বেশ কিছু মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং শতাধিক হাঁস মুরগি মারা গেছে।এছাড়া কলাপাড়ার উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা সিদ্দিকুর রহমান মুন্সি জানান, মহিপুরের ৪৭/১ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের নিজামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বাঁধের ১৫ ফিট এবং নিজামপুর সুলিজ সংলগ্ন বাঁধের ১৩ ফিট বাঁধ ভেঙে ওই এলাকার প্রায় ২৫শ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। অপরদিকে, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে লালুয়া ইউনিয়নে জলাবদ্ধতার কারণে প্রায় ৩০টি বাড়ি প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।এদিকে, রাঙ্গাবালী উপজেলার চর মোন্তাজের বাসিন্দা মো. জাহাঙ্গির হোসেন জানান, ওই ইউনিয়নের বৌ-বাজার এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে কয়েকশ পরিবার এখন পানিবন্দী অবস্থায় জীবনযাপন করছেন। আর গলাচিপা উপজেলার রতনদি তালতলি ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ ভেঙে গ্রামর্ধন ও লেবুবুনিয়াসহ অন্তত ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে ওই এলাকার ৫২০টি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে বলে জানান ওই উনিয়নের চেয়ারম্যান মো. গোলাম মোস্তফা খান। বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় এসব এলাকার ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছন সংশ্লিষ্ঠ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বররা।এসএস/এবিএস
Advertisement