ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হেনেছে। বরগুনা, পটুয়াখালী ও চট্টগ্রাম অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড়টি। শনিবার পৌনে ১টা থেকে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু ওই এলাকা দিয়ে বয়ে যায়।জানা যায়, রোয়ানুর প্রভাবে কয়েকটি উপকূলে জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে। ২০-২৫ ফুট উঁচু হয়ে পানি এসে আঘাত করছে। বাতাসের একটানা গতিবেগ ৮০ কিলোমিটার। এসব এলাকার দোকানপাট পানিতে তলিয়ে গিয়ে ভেসে গেছে। হাতিয়ায় নিঝুম দ্বীপের বেড়িবাধঁ ভেঙে গেছে। চট্টগ্রামের বাঁশখালী, আনোয়ারা, সন্দ্বীপ উপেজেলার নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। রোয়ানু বর্তমানে চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করে উত্তর-পূর্বদিকে মায়ানমারের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা আতিকুর রহমান।চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র উপকুলীয় এলাকার ঝিনুক মার্কেট জলোচ্ছ্বাসের পানিতে ভেসে গেছে। প্লাবিত হয়েছে পতেঙ্গা ও এর আশ পাশের এলাকা। ঝড়ো হাওয়ায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সামনে তিনটি গাছ রাস্তার উপর ভেঙে পড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।চট্টগ্রাম নগরীর ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই এলাকার সাবেক কাউন্সিলর জামাল হোসেন।জোয়ারের পানিতে নগরীর মধ্যম হালিশহর, পতেঙ্গার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর জেসমিনা খানম।পতেঙ্গায় বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ। তবে এখনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।এদিকে বাঁশখালী, আনোয়ারা ও সন্দ্বীপ উপজেলায় প্রচণ্ড জোয়ারে বেড়িবাঁধ উপচে পানি ঢুকে গেছে লোকালয়ে। বিভিন্ন এলাকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।সন্দ্বীপ পৌর মেয়র জাফরুল্লাহ টিটু জানিয়েছেন, রোয়ানুর প্রভাবে সন্দ্বীপের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনে কাজ করছে জেলা প্রশাসনের একাধিক টিন। এছাড়া মাঠে রয়েছে রেডক্রিসেন্টের উদ্ধারকারী দল।জীবন মুছা/আরেএস/এএইচ/এমএস
Advertisement