ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শনিবার ভোর থেকেই মাদারীপুর জেলাজুড়ে বৃষ্টি ও বাতাস শুরু হয়েছে। বৃষ্টি ও বাতাস বাড়তে থাকায় সকাল থেকেই দেশের অন্যতম নৌপথ কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়ায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ফেরি চলাচল। জানা গেচে, সকাল ৭টার আগে ফেরিতে গাড়ি লোড করা হলেও ৭টা থেকে ফেরিগুলো আনলোড করা হয়। ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়। ঢাকাগামী দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস শনিবার ভোরে কাওড়াকান্দি ঘাটে এসে আটকা পড়ে। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় কাওড়াকান্দি ঘাটে কমপক্ষে অর্ধশত যাত্রীবাহী নৈশকোচ আটকে আছে। এছাড়া গতকাল থেকেই প্রায় দেড় শতাধিক পণ্যবাহী পরিবহন ঘাট এলাকার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে অবস্থান করছে। রাতে আটকা পড়া যাত্রীরা সারারাত কাওড়াকান্দি ঘাটে চরম দূর্ভোগের শিকার হন। কাওড়াকান্দি ঘাটের কাছাকাছি কোনো গণশৌচাগার না থাকায় যাত্রীরা সকালে চরম দূর্ভোগের মধ্যে পড়েন।বিআইডব্লিউটিএর কাওড়াকান্দি ঘাট সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশে সকল নৌ-চলাচলের ন্যায় কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌপথেও বন্ধ রাখা হয়েছে নৌযান চলাচল। ঝড়ের প্রভাবে পদ্মা উত্তাল থাকায় দূর্ঘটনা এড়াতে বন্ধ রাখা হয় নৌচলাচল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বরিশাল থেকে আসা যাত্রী সেনা সদস্য জানান, আজ সন্ধ্যা ৬টার মধে চট্টগ্রাম সেনা ক্যাম্পে পৌঁছানোর কথা কিন্তু ফেরি না চলার কারণে গত রাত থেকে এখানে আটকে আছি। কাওড়াকান্দি লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাট সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা উত্তাল থাকায় শুক্রবার বিকেল থেকেই লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে, আবহাওয়া খারাপ থাকায় কাওড়াকান্দি ঘাটে সাধারণ যাত্রীদের সংখ্যা খুবই কম। অনেকে সকালে ঘাট এলাকায় এসে আবার বাড়ি ফিরে গেছে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায়। তবে যাত্রীবাহী বাসের যাত্রীরা আটকে আছে ঘাট এলাকায়।বিআইডব্লিউটিসির কাওড়াকান্দি ঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম মিয়া বলেন,‘ শুক্রবার বিকেলে ডাম্প ও ফ্ল্যাট ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। তবে রো রো ফেরি চলাচল করছিল। শনিবার সকালে বিআইডব্লিউটিএর নির্দেশে সকল ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে এ ঘাটে। ঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক আটকে আছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে।’নাসিরুল হক/এসএস/এমএস
Advertisement