বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ওই এলাকায় প্রায় ৪-৫ ফুট জলোচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে।নোয়াখালী আবহাওয়া অফিস বলছে, ধীরে ধীরে বায়ুর চাপ কমছে। অর্থাৎ ঘূর্ণিঝড় তীরের দিকে ধেয়ে আসছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৩ মি.মি. বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক বদরে মুনির ফেরদৌস জানিয়েছেন, জেলায় দূর্যোগ মোকাবেলায় উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ২৫১টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১২,৫০০ লোক আশ্রয় নিয়েছে এবং ১০৯টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।শনিবার ভোরে রোয়ানুর প্রভাবে সৃষ্ট প্রবল জোয়ারের পানিতে উপজেলা নিম্নাঞ্চলসমূহ প্লাবিত হয়। এতে ওইসব এলাকার কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।উপজেলার সোনাদিয়া, নলচিরা, সুখচর, তমরদ্দি, চরঈশ্বর ইউনিয়নের ২৫টি গ্রাম জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে নিম্নাঞ্চলের কয়েক হাজার অসহায় মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এছাড়া ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এদিকে, রোয়ানুর কারণে প্রবল বৃষ্টিতে গোটা জেলায় জনজীবনে স্থবিরতা দেখে দিয়েছে। দূরপাল্লার যানবাহনসহ অভ্যন্তরীণ ছোট বড় যানবাহন সীমিত আকারে চলাচল করছে। অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজসহ সকল প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতি কম দেখে গেছে। মিজানুর রহমান/এসএস/এমএস
Advertisement