ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে ফ্রান্সে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন ৩০ বছর বয়সী এক যুবক। মো. শাহিন মিয়া নামে পরিচিত একজনের সঙ্গে ফ্রান্সে যেতে চুক্তি অনুযায়ী প্রায় ৯ লাখ টাকা নগদ পরিশোধও করেন। তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। ফ্রান্সে নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লেবানন নিয়ে ভুক্তভোগী যুবককে আটকে রেখে নির্যাতন চালানো হয়। এ ঘটনায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আসামি মো. শাহিন মিয়াকে গ্রেফতার করে।
Advertisement
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার আব্দুল্লাহপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য শাহিনকে গ্রেফতার করে র্যাব-১০।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি তাপস কর্মকার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গ্রেফতার মো. শাহিন মিয়া ভুক্তভোগীর (৩০) দূর সর্ম্পকের আত্মীয়। শাহিন দীর্ঘদিন লেবাননে প্রবাস জীবন কাটায়। দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকায় ফ্রান্সে যেতে আগ্রহী যুবককে শাহিন প্রথমে লেবাননে নিয়ে সেখান থেকে ফ্রান্সে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখায়। আত্মীয়তার সুযোগ নিয়ে নগদ ৮ লাখ ৯৩ হাজার টাকা ওই যুবকের কাছ থেকে নেন শাহিন।
Advertisement
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, পরবর্তী সময়ে শাহিন ও অপরাপর আসামিরা গত ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর ভুক্তভোগী যুবককে শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের একটি ফ্লাইটে করে লেবাননে নিয়ে যায়। লেবানন বিমানবন্দরে নামার পর শাহিন ওই যুববকে একটি ঘরে আটকে রাখে। এরপর শাহিন ভুক্তভোগী যুবককে বাংলাদেশ থেকে আরও টাকা এনে দেওয়ার জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে।
পরবর্তী সময়ে ওই যুবক নির্যাতন সইতে না পেরে লেবাননে আটকে রাখা ঘর থেকে পালিয়ে সেখানকার পুলিশের কাছে ধরা দেন। এরপর লেবানন সরকার তাকে ২০২৪ সালের ২০ অক্টোবর বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়।
এএসপি তাপস কর্মকার আরও বলেন, দেশে ফিরে ভুক্তভোগী যুবক মানবপাচার প্রতিরোধ দমন আইনে শাহিনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা করেন। মামলার পরিপেক্ষিতে র্যাব অভিযান চালিয়ে মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য শাহিনকে গ্রেফতার করে।
টিটি/এমএইচআর/এএসএম
Advertisement