মতামত

রোয়ানুর আঘাত থেকে উপকূলবাসীকে রক্ষা করুন

ধেয়ে আসছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু। ইতোমধ্যেই কক্সবাজারসহ উপকূলবর্তী সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৭ থেকে বিভিন্ন মাত্রার সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলবর্তী প্রায় ২১ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি ছুটি বাতিল করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়। আজ (শনিবার) দুপুর অথবা বিকেল নাগাদ ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস বলছে। এ জন্য সব ধরনের সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই। আমাদের দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ নতুন কোনো বিষয় নয়। দুর্যোগ মোকাবেলায় ইতোমধ্যেই সাফল্যের ইতিহাস রয়েছে বাংলাদেশের। কিন্তু একটা দুর্যোগ নানা ক্ষতর সৃষ্টি করে যায়। এখনো আইলার আঘাতের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারেনি উপকূলীয় মানুষজন। এরপর একটার পর একটা আঘাত আসতে থাকলে সেটি আরো দুর্ভাগ্যের কারণ হবে। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় এখনো অনেকটাই অধরা। তবে দুর্যোগ পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সচেতনতা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা থেকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কমিয়ে আনা যায়। সে লক্ষ্যে প্রশাসনকে কাজ করতে হবে। এখন পর্যন্ত রোয়ানুর প্রভাবজনিক কারণে দুইজনের মৃত্যু সংবাদ পাওয়া গেছে। ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে সাইক্লোন সেন্টারসহ নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে হবে উপকূলবাসীকে। ত্রাণ কার্যক্রমও অব্যাহত রাখতে হবে। প্রাথমিক চিকিৎসারও ব্যবস্থাও করতে হবে। সর্বোপরি দুর্যোগ মোকাবেলায় যে পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে তা কাজে লাগিয়ে সে অনুযায়ী যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে যাতে একজন মানুষও রোয়ানুর আঘাতজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। আমরা এ ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের জোর দাবি জানাচ্ছি। এইচআর/এমএস

Advertisement