৩৫৬ রানের বিশাল স্কোর ভারতের। যেখানে বিরাট কোহলির অবদান ৫২ রান। টেস্ট ও ওয়ানডে মিলিয়ে ২০২৩ সালের নভেম্বরের পর এই প্রথম হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেলেন তিনি। হাফ সেঞ্চুরি করলেও ঠিকই আউট হতে হলো ইংলিশ লেগ স্পিনার আদিল রশিদের হাতে।
Advertisement
আদিল রশিদের মুখোমুখি হওয়া মানেই বিরাট কোহলির আউট হওয়া যেন অবধারিত। কারণ একই ধরনের বল। একই ধরনের আউট বিরাট কোহলি। তিন ম্যাচের সিরিচে ২য় ম্যাচের পর ৩য় ম্যাচেও রশিদের বলে আউট হন বিরাট কোহলি। বার বার একইভাবে আউট হচ্ছেন তিনি। কোহলির দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে রীতিমত রেকর্ড গড়লেন ইংল্যান্ডের স্পিনার। ভাগ বসালেন আরও দুই বোলারের কীর্তিতে।
কোহলিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে মোট ১১ বার আউট করেছেন আদিল রশিদ। মোট ৩৪ বার মুখোমুখি হয়ে এ রেকর্ড গড়েন তিনি। এরমধ্যে টেস্টে চার, একদিনের ক্রিকেটে পাঁচ ও টি-টোয়েন্টিতে দু’বার কোহলির উইকেট নিয়েছেন ইংলিশ স্পিনার।
চেন্নাইয়ের কটকে ২য় ওয়ানডে ম্যাচে রশিদের বল পড়েছিল মিডল ও অফ স্ট্যাম্পের মাঝে। সেখান থেকে বল স্পিন হয়। কোহলির পা বলের কাছেই পৌঁছেনি। শরীরের থেকে অনেক দূরে ব্যাট চালান তিনি। বল ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষক ফিল সল্টের গ্লাভসে জমা পড়ে। আহমেমদাবাদে রশিদের বল পড়ে লেগ স্ট্যাম্পে। সেখান থেকে বল সুইং করে। এবার কোহলি বলের কিছুটা কাছে পৌঁছলেও শটের উপর নিয়ন্ত্রণ ছিল না। আবার তার ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় উইকেটরক্ষকের দস্তানায়।
Advertisement
অফ স্ট্যাম্পের বাইরে কোহলির দুর্বলতা এখনও কাটেনি। পেসার হোক বা স্পিনার, একটু ফুল লেংথে বল পড়লেই সামনের পায়ে ড্রাইভ খেলতে যান তিনি। অনেক সময় শরীর ও ব্যাটের দূরত্ব বেশি থাকে। ফলে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন না। বল লাগে ব্যাটের কানায়। ফলে আউট হয়ে যান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে দুই ম্যাচেই দেখা যায় সেটা।
কোহলিকে আরও দুই বোলার ১১ বার করে আউট করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার জশ হ্যাজলউড ২৯ ম্যাচে এবং নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি ৩৭ ম্যাচে ভারতীয় এই ব্যাটারকে ১১ বার করে আউট করেন। ইংল্যান্ডের জেমস অ্যান্ডারসন ও মইন আলির বলে ১০ বার করে আউট হয়েছেন কোহলি।
আরও দুই ইংলিশ বোলার বেন স্টোকস তাকে ৯বার ও গ্রায়েম সোয়ান ৮বার আউট করেন। ৮ বার করে দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা এবং অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জাম্পা ও প্যাট কামিন্সের বলে সাজঘরে ফিরেছেন কোহলি।
আইএইচএস/
Advertisement