বিশ্বব্যাপী মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৫ বছরের (২০০০-২০১৫) মধ্যে গত পাঁচ বছরে নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে গড় আয়ু বৃদ্ধির হার। ১৯৬০ সালের পর এত দ্রুত গড় আয়ু বৃদ্ধির রেকর্ড নেই। তবে গড় আয়ু বৃদ্ধি পেলেও দেশভেদে গড় আয়ুর হার তথা স্বাস্থ্যসেবার বৈষ্যম্য এখনও রয়ে গেছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড হেলথ স্ট্যাটিসটিকস : মনিটরিং হেলথ ফর দ্য এসডিজিস’ এ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গড় আয়ুর দিক থেকে জাপানি মহিলাদের গড় আয়ু ৮৬দশমিক ৬ অর্থাৎ প্রায় ৮৭ বছর ও সুইজারল্যান্ডে পুরুষদের ৮১ দশমিক ৩ বছর পাচ্ছেন। সবচেয়ে কম গড় আয়ু দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনে, মহিলাদের ৫০ দশমিক ৮ ও পুরুষদের ৪৯ দশমিক ৩ বছর।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ প্রতিবেদন অনুসারে বাংলাদেশে গড় আয়ু ৭১ দশমিক ৮ বছর (মহিলা ৭৩ দশমিক ১ ও পুরুষ ৭০ দশমিক ৬ বছর)। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ৯০ দশকে আফ্রিকাতে এইচআইভি এইডস এর কারণে যেখানে গড় আয়ু নাটকীয়ভাবে কমতে শুরু করেছিল বর্তমানে সেখানে গড়ে প্রায় ১০ বছর বৃদ্ধি পেয়ে ৬০ বছর হয়েছে। এইচআইভি এইডস প্রতিরোধ, ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ ও শিশু মৃত্যুরোধে সাফল্যের কারণে গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. মার্গারেট চ্যাং বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ প্রতিরোধ ও নিরাময়যোগ্য রোগব্যাধি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অপরিণত বয়সের মৃত্যুরোধে ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছে। তবে দেশভেদে সাফল্যে সমান নয়।সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন বলেন, কোনো দেশই যেন পিছিয়ে না থাকে, সে প্রচেষ্টা সম্মিলিতভাবে চালাতে হবে।প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, ২০১৫ সালে জম্ম নেয়া শিশুদের (ছেলে-মেয়ে) একত্রে গড় আয়ু ৭১ দশমিক ৪ বছর (ছেলেদের ৬৯ দশমিক ১ ও মেয়েদের ৭১ দশমিক ৪ বছর)। এছাড়া, বিশ্বের উচ্চ আয়ের ২৯টি দেশে গড় আয়ু ৮০ বছরের বেশি। অপরদিকে, সাব সাহারা আফ্রিকা অঞ্চলে জম্ম নেয়া শিশুর ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত গড় আয়ু ৬০ বছরের কম।২০১৫ সালে জাতিসংঘের সভায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে ওয়ার্ল্ড হেলথ স্ট্যাটিসটিকস প্রকাশিত হয়। সঠিক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে স্বাস্থ্য পরিস্তিতির উন্নয়ন ঘটিয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার টার্গেট পূরণের কাজ এগিয়ে চলেছে।বিশ্বে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন প্রত্যাশিত গড় আয়ুর ১০টি দেশ (২০১৫সাল)
Advertisement
এমইউ/আরএস/এমএস