শেষ ওভারে দরকার ছিল ১১ রান। কিন্তু ভুবনেশ্বর কুমার পারলেন না সানরাইজার্স হায়দারাবাদকে জয়ের মুখ দেখাতে। শেষ বলে চার মেরে দলকে অসাধারণ এক জয় উপহার দেন ভারতীয় তরুণ ক্রিকেটার কারুন নায়ার। তার অপরাজিত ৮৩ রানের উপর ভর করেই ৬ উইকেটে মুস্তাফিজদের হারায় জহির খানের দল। এই জয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে কলকাতা এবং ব্যাঙ্গালুরুর ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে তারা।এর আগে শুরুতে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লির অধিনায়ক জহির খান। দু দলের শেষ দেখাতেও জয়ের মুখ দেখেছিল দিল্লি। তাই এ ম্যাচেও নির্ভার হয়ে মাঠে নামে তারা। কিন্তু টিকে থাকার ম্যাচে একটু বেশিই চিন্তিত ছিল দিল্লি। শেখর ধাওয়ান ১০ এবং হোড্ডা ১ রান করে রানআউট হলে শুরুতেই বিপাকে পড়ে হায়দারাবাদ। সেখান থেকে দলকে একাই টেনে তোলেন অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। তার অনবদ্য ৭৩ রানের সুবাদে দেড়শোর কোটা পার করে হায়দারাবাদ। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান করে হায়দারাবাদ। দিল্লির হয়ে ২৭ রান দিয়ে দু উইকেট নেন কার্লস ব্রাথওয়েট। ১৫৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ডি কককে হারিয়ে চাপে পড়ে দিল্লি। কিন্তু দুই তরুণ ব্যাটসম্যান কারুন নায়ার এবং রিজবাহ পান্টের ব্যাটিংয়ে ভর করে দারুণভাবে এগুতে থাকে দিল্লি। পান্ট ৩২ রান করে আউট হলেও অন্য প্রান্তে ঠিকই নিজের অর্ধশতক পূরণ করে নেন নায়ার। এ ম্যাচেও দুর্দান্ত বোলিং করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভার বল করে ২৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ব্রাথওয়েটের উইকেট। দলের ১৯তম ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে হায়দারবাদকে ম্যাচেও ফিরিয়ে এনেছিলেন এই বাঁহাতি পেসার কিন্তু ভুবনেশ্বর কুমারের করা শেষ ওভারে নায়ার চমকেই ম্যাচ হারে হায়দারাবাদ। ৮৩ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলার সুবাদে ম্যান অফ দ্য ম্যাচও তার প্রাপ্য। এই জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে রইল দিল্লি। কলকাতা, দিল্লি এবং মুম্বাইরও ১৪ পয়েন্ট। অন্যদিকে ম্যাচ হেরেও টেবিলের শীর্ষে রয়েছে মুস্তাফিজের হায়দারাবাদ। আরআর/জেএইচ
Advertisement