এমন দৃশ্য সচরাচর দেখা যায়; যেখানে ক্রিকেটারের বদলে ফিল্ডিং করতে হয় কোচকে। গতকাল সোমবার ত্রিদেশীয় সিরিজে নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচে এমন বিরল দৃশ্য দেখা গেছে। ক্রিকেটার সংকটের কারণে মাঠে নামতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার কোচকে!
Advertisement
বড় ক্রিকেটাররা ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি এসএ২০ খেলায় ব্যস্ত থাকায় ১২ জন ক্রিকেটার নিয়ে পাকিস্তান এসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সোমবার তাদের প্রথম ম্যাচ ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের ৩৭তম ওভারে ফিল্ডিংয়ের জন্য একজন অতিরিক্ত ক্রিকেটার প্রয়োজন হয় প্রোটিয়াদের।
কিন্তু কোনো ক্রিকেটার অ্যাভেইলেবল না থাকায় মাঠে নেমে যান ওয়ান্দিলে গাভুু। দক্ষিণ আফ্রিকার সাদা বলে ফিল্ডিং কোচ তিনি। মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে ক্যামেরার দৃষ্টি স্থির হয় গাভুর ওপর। এরপর ক্রিকেটভক্তরাও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
অনেকে হয়তো জানতে চান, ক্রিকেটে এমন নিয়ম আছে কিনা। তাদের জন্য এক কথায় উত্তর হলো- আছে। বিশেষ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতেই এমন নিয়ম চালু রেখেছে আইসিসি।
Advertisement
নিয়মে বলা রয়েছে, কোনো দলের যদি বদলি ক্রিকেটার হিসেবে যদি অতিরিক্ত কেউ না থাকে সেক্ষেত্রে দলের কোচিং স্টাফরা ফিল্ডিং করতে পারেন।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ নতুন মুুখ নিয়ে খেলতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদেরই একজন ম্যাথিউ ব্রিটজকে ১৫০ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন। বিশ্বক্রিকেটে যা ওয়ানডে অভিষেকে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
যদিও ব্রিটজকের রেকর্ডটি ম্লান হয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের অভিজ্ঞ ব্যাটার কেন উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরিতে। ১১৩ বলে ১৩৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটের জয় উপহার দেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
দক্ষিণ আফ্রিকার দলে একজন কোচকে খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামানোর ঘটনা এবারই প্রথম নয়। গত বছর একই ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল ক্রিকেটবিশ্ব। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং কোচ জেপি ডুমিনি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ওয়ানডে ম্যাচে ফিল্ডার হিসেবে নেমেছিলেন। সেই ম্যাচে অনেক খেলোয়াড় অসুস্থ থাকায় ডুমিনিকে ফিল্ডিংয়ে পাঠানো হয়।
Advertisement
দক্ষিণ আফ্রিকার পরের ম্যাচ আগামীকাল বুধবার পাকিস্তানের বিপক্ষে। এসএ২০ শেষ করে (৮ ফেব্রুয়ারি ছিল ফাইনাল) এই ম্যাচে প্রোটিয়া দলে যোগ দেবেন বেশকিছু বড় তারকা। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন- হেনরিখ ক্লাসেন ও কেশব মহারাজ।
এমএইচ/