বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১৪তম অবস্থানে রয়েছে।গত বছর বাংলাদেশের অবস্থান ১০ম ছিল। দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে ১০০ এর মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর ২৩। সমান স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একই অবস্থানে রয়েছে কঙ্গো ও ইরান।
Advertisement
এছাড়া দুর্নীতির ধারণা সূচকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৫১তম। গত বছর এ অবস্থান ছিল ১৪৯তম।
বার্লিনভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) পরিচালিত ‘দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই) ২০২৪’-এর বৈশ্বিক প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
আরও পড়ুন
Advertisement
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। বিশ্বের ১৮০টি দেশের ওপর জরিপ চালিয়ে এ র্যাংকিং প্রকাশ করা হয়েছে।
টিআইবি জানায়, দুর্নীতির ধারণা সূচক-২০২৪ এ বাংলাদেশের স্কোর ১ পয়েন্ট কমে গত ১৩ বছরে এখন সর্বনিম্ন ২৩ পয়েন্ট। উচ্চক্রম অনুযায়ী দুই ধাপ অবনতিতে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫১তম।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মকর্তাদের সব লকার ফ্রিজট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের সূচকে দুর্নীতির ধারণার মাত্রাকে ০ থেকে ১০০-এর স্কেলে নির্ধারণ করা হয়। ‘০’ স্কোরকে দুর্নীতির কারণে সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত এবং ‘১০০’ স্কোরকে দুর্নীতির কারণে সবচেয়ে কম ক্ষতিগ্রস্ত বা সর্বাধিক সুশাসিত বলে ধারণা করা হয়।
Advertisement
টিআই বলেছে, ১০০ স্কোরের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ২৩, যা গতবারের চেয়ে ১ পয়েন্ট কম। গত বছর বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২৪।
আরও পড়ুন
কোনোভাবে মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে পারছে না সরকারড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, ২০১২ সালের পর এবার দুর্নীতি সূচকে সবচেয়ে কম স্কোর পেয়েছে বাংলাদেশ। ভুটান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশের স্কোর কমেছে।
দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকার শীর্ষে রয়েছে আফ্রিকার দেশ দক্ষিণ সুদান। দুর্নীতির ধারণা সূচকের (সিপিআই) ১০০ স্কোরের মধ্যে দেশটি পেয়েছে মাত্র ৮। তালিকায় যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সোমালিয়া। আর তৃতীয় ভেনিজুয়েলা। তাদের স্কোর যথাক্রমে ৯ ও ১০। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৪তম।
গত বছর বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে ‘সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১০ম ছিল। ২০২২ সালে ১২তম, ২০২১ সালে ১৩তম, ২০২০ সালে ১২তম, ২০১৯ সালে ১৪তম, ২০১৮ সালে ১৩তম, ২০১৭ সালে ১৭তম, ২০১৬ সালে ১৫তম ও ২০১৫ সালে ১৩তম অবস্থান ছিল বাংলাদেশের।
এসএম/এমকেআর/এমএস