রংবাহারি পিটুনিয়া গাছের যত্ন নেবেন যেভাবে

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৪৫ পিএম, ০৩ নভেম্বর ২০২৪

শীতে বাগানের শোভা বাড়াতে লাল, নীল, বেগুনি, গোলাপি রংবাহারি পিটুনিয়ার জুড়ি নেই। নানা রকম রঙে পাওয়া যায় এই ফুলটি। এমনকি একটা ফুলে একাধিক রংও থাকে। তবে অনেকেই পিটুনিয়া ফুল গাছের যত্ন কীভাবে করতে হয় তার সঠিক পদ্ধতি জানেন না। ফলে আশানুরূপ ফুলও আসে না গাছে।

জেনে নিন পিটুনিয়া ফুল গাছের যত্নের কিছু টিপস। যা অনুসরণ করলে গাছে বেশি ফুল ধরবে-

পর্যাপ্ত আলো নিশ্চিত করুন

পিটুনিয়া ফুল গাছ সরাসরি সূর্যালোকে ভালো বেড়ে ওঠে। প্রতিদিন অন্তত ৫-৬ ঘণ্টা সরাসরি সূর্যের আলোতে গাছ রাখলে ফুল ভালো হয়। যদি ঘরে রাখেন, তবে এমন স্থানে রাখুন যেখানে পর্যাপ্ত আলো পৌঁছায়।

নিয়মিত পানি দিন

পিটুনিয়া গাছ নিয়মিত পানি পছন্দ করে, তবে অতিরিক্ত পানি দেওয়া ঠিক নয়। গাছের মাটি সামান্য শুকনো হলে পানি দিন। অতিরিক্ত পানি দিলে গাছের শিকড় পচে যেতে পারে।

রংবাহারি পিটুনিয়া গাছের যত্ন নেবেন যেভাবে

সঠিক মাটি ব্যবহার করুন

পিটুনিয়া ফুল গাছের জন্য নিষ্কাশন ভালো এমন মাটি ব্যবহার করুন। হালকা ও পানি ধারণের ক্ষমতা সম্পন্ন মাটি পিটুনিয়ার জন্য উপযুক্ত। মাটিতে সামান্য জৈব সার বা কম্পোস্ট মেশালে গাছের বৃদ্ধি ভালো হয়।

সার প্রয়োগ

পিটুনিয়া গাছে নিয়মিত সার প্রয়োগ করলে বেশি ফুল ধরে। সাধারণত ২-৩ সপ্তাহ পরপর তরল সার প্রয়োগ করা ভালো। নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ সার পিটুনিয়ার ফুল ধরার জন্য উপকারী।

পোকামাকড় ও রোগ থেকে রক্ষা করুন

পিটুনিয়া গাছে মাঝেমধ্যে পোকামাকড় ও ছত্রাক আক্রমণ করতে পারে। সেক্ষেত্রে সঠিক কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনীয় সুরক্ষা নিতে হলে ঘরে বানানো নিমপাতার রস বা হালকা কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।

মরা ফুল ও পাতা ছেঁটে দিন

মরা ফুল বা শুকিয়ে যাওয়া পাতা নিয়মিত ছেঁটে ফেলুন। এতে গাছ নতুন ফুল ধরার জন্য উদ্দীপ্ত হয়। পিটুনিয়া গাছে এই পরিচর্যার ফলে অনেক বেশি ফুল ধরে।

রংবাহারি পিটুনিয়া গাছের যত্ন নেবেন যেভাবে

তাপমাত্রা বজায় রাখুন

পিটুনিয়া ঠাণ্ডা সহ্য করতে পারে না, তাই শীতকালীন সময়ে গাছের জন্য ১৫-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উপযুক্ত। শীতে গাছ ঘরে নিয়ে আসা যায়।

কেএসকে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।