কুড়িগ্রামে ৩০২ হেক্টর জমিতে হচ্ছে শসার চাষাবাদ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০১:২৪ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

কুড়িগ্রামে এ বছর বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আগাম শীতকালীন সবজী শসা চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। কম খরচে লাভ বেশি থাকায় শসা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূল ও বাজার দাম ভালো থাকলে শসা বিক্রি করে লাভবান হওয়ার আশা করছেন শসা চাাষিরা।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলা আগাম শীতকালীন সবজি চাষে অন্যান্য সবজির পাশাপাশি ৩০২ হেক্টর জমিতে শসার চাষাবাদ হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা লাভবান হবে বলে জানান কৃষি অফিস।

আরও পড়ুন
গাছের পাতা পোড়া রোগ হলে করণীয় 

কথা হয় সদর উপজেলার ভোগডাঙা ইউনিয়নের চাষি মোঃ নুর ইসলামের সঙ্গে তিনি বলেন, এ বছর তিন বিঘা জমিতে আগাম শীতকালীন সবজি শসা চাষ করেছি। শসা চাষে ব্যয় হয়েছে বিঘা প্রতি মোট ১০-১২ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত মণ প্রতি ৪ হাজার দরে ২০ হাজার টাকার শসা বিক্রি করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকলে আর গাছের রোগ ব্যাধি না হলে আশা করছি ভালো লাভবান হবো।

আরেক কৃষক মোঃ রোস্তম আলী বলেন, আমি এক বিঘা জমিতে শসা চাষাবাদ করেছি। শসা চাষের নিয়মিত পরিচর্যা ও ওষুধ প্রয়োগ করলে গাছে তেমন রোগ বালাই ধরে না। তবে শসায় ছত্রাক/পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে কীটনাশক ছিটিয়ে ক্ষেত ভালো রাখা যায়। বাজারে শসার চাহিদা ভালো। আশা করছি এ মৌসুমে ৫০-৬০ হাজার টাকার শসা বিক্রি করতে পারবো।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কুড়িগ্রাম জেলায় ৩২০ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন সবজি শসার চাষাবাদ হচ্ছে। কৃষি অফিস থেকে চাষিদের সব সময় নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি এ মৌসুমে শসা চাষিরা লাভবান হবে।

ফজলুল করিম ফারাজী/ কেএসকে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।