করলা চাষে কম খরচে বেশি লাভ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি জয়পুরহাট
প্রকাশিত: ১২:২৯ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় গত বছর ১ বিঘা জমিতে করলা চাষে লাভ করেছিলেন। তাই এবার ২ বিঘা জমিতে করলা চাষ করেছেন জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মিনিগাড়ী গ্রামের আ. খালেক। এ মৌসুমে এরই মধ্যে তিনি ১ লাখ টাকার করলা বিক্রি করেছেন। আরও দেড় লাখ টাকা বিক্রির আশা করছেন।

সরেজমিনে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন এলাকায় ক্ষেতের মাচায় সবুজ লতার মাঝে দুলছে করলা। কিছু করলা পেকে লাল হয়ে গেছে। প্রতিদিনই দুই বেলা সেই করলা জমি থেকে সংগ্রহ করে রাস্তায় তুললে কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা। এ করলা বিক্রির জন্য কষ্ট করে বাজারে নিতে হয় না। করলার জমি থেকেই পাইকাররা কিনে নিয়ে যান।

জানা যায়, জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার মুনঝাড়, মিনিগাড়ী, দাশরা, বিলেরঘাট, চৌমুহনী, মোলামগাড়ী, সদর উপজেলার ধলাহার, দুগাছী, ভাদশা ইউনিয়নের মাঝিপাড়া, পুরানাপৈল, পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী, রতনপুর এলাকায় স্থানীয় উন্নত জাতসহ বারি, হাইব্রিড জাতের করলা উৎপাদন বেশি হয়ে থাকে।

করলা চাষে কম খরচে বেশি লাভ

মুনঝাড় গ্রামের কৃষক আনিছুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘এবার বেশি জমিতে করলা চাষ করেছি। জমি তৈরি, সার, বীজ, ওষুধ, কীটনাশকসহ সবমিলে ১ বিঘায় খরচ হয়েছে প্রায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত গত পনেরো দিনে করলা বিক্রি করেছি ৬৫ হাজার টাকা। আরও ৪০ হাজার টাকা বিক্রির আশা করছি।’

আরও পড়ুন

মিনিগাড়ী গ্রামের কৃষক গোলাম আজম জাগো নিউজকে বলেন, ‘বীজ বপনের ৪০-৬০ দিনের মধ্যেই গাছ থেকে করলা পাওয়া যায়। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে করলা সংগ্রহ করা যায়। প্রতিবিঘা জমিতে ৬০-৭০ মণ পর্যন্ত ফসল পাওয়া যায়। প্রতি বিঘায় খরচ হয় ৩০-৩৫ হাজার টাকা। বিক্রি করা যায় ১ লাখ টাকার বেশি।’

করলা চাষে কম খরচে বেশি লাভ

করলা ব্যবসায়ী মিলন হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা এখান থেকে করলা কিনে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠিয়ে দিই। এখান থেকে কৃষকেরাও উপকৃত হন। আমরাও কিছুটা লাভবান হই। এখন করলা বেচাকেনা হচ্ছে ১৫০০-১৬০০ টাকা মণ।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সাদিয়া সুলতানা জাগো নিউজকে বলেন, ‘এবার জয়পুরহাটে ১৬০ হেক্টর জমিতে করলা চাষ হয়েছে। এতে কৃষকদের ফলন ভালো হয়েছে। দামও ভালো পাচ্ছেন তারা।’

আল মামুন/এসইউ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।