ঝুঁকির মুখে সুন্দরবনের প্রাণী ও পরিবেশ


প্রকাশিত: ০৪:৫২ এএম, ১০ ডিসেম্বর ২০১৪

বাংলাদেশের সুন্দরবনে তেলবাহী জাহাজ ডুবে যাওয়ার ঘটনায় বড় ধরণের পরিবেশ বিপর্যযের আশংকা তৈরি হয়েছে। সংরক্ষিত বনাঞ্চলে এই বিপুল পরিমাণ তেল ছড়িয়ে পড়লে সেখানকার পরিবেশ এবং প্রাণীর ওপর দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট অফ বাংলাদেশ এর প্রধান নির্বাহী আনোয়ারুল ইসলাম।

অধ্যাপক ইসলাম বলেন, সুন্দরবনকে ঘিরে যেহেতু প্রচুর নদীনালা খালবিল ছড়িয়ে রয়েছে, ফলে বনের যেকোনো জায়গায় এ ধরনের দুর্ঘটনা মারাত্মক বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। আর জোয়ার ভাটার প্রভাবে তেল বনাঞ্চলের সর্বত্র ছড়িয়ে যেতে পারে।

দুর্ঘটনা যেখানে ঘটেছে ঠিক ঐ অঞ্চলটিই বিরল প্রজাতির একটি ডলফিনের জন্য সম্প্রতি অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তেল নি:সরণের ফলে ডলফিন সহ সেখানকার অন্যান্য জলজ প্রাণী যেমন মাছ, কুমির, কচ্ছপ, কাঁকড়া সহ ছোট ছোট প্রজাতির ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।

ডুবে যাওয়া ওই জাহাজে সাড়ে তিন লাখ লিটারের বেশি জ্বালানি তেল ছিল যা ধীরে ধীরে আশেপাশে বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগের কর্মকর্তারা। সুন্দরবনের ভেতরে শেলা নদী দিয়ে যাওয়ার সময় একটি মালবাহী জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মঙ্গলবার ডুবে যায় সাউদার্ন স্টার সেভেন নামের তেলবাহী ট্যাংকারটি।

এই তেল খুব ভারী হওয়ায় তা দীর্ঘদিন সেখানকার পানি, মাটি কিংবা বালুতে মিশে থেকে যাবে বলেও আশংকার কথা জানান মি ইসলাম।
বর্ষাকাল হলে বৃষ্টির পানিতে তেল ধুয়ে মুছে যেত, কিন্তু শীতকাল হওয়ায় সে সম্ভাবনাও নেই। এছাড়া এ ধরনের দুর্ঘটনার পর সরকারের তরফে যে ধরনের উদ্যোগ নেয়া দরকার তা-ও দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অধ্যাপক ইসলাম বলেন, সুন্দরবনের ভেতর বা সংলগ্ন এলাকা দিয়ে যে কোনও ধরনের জাহাজ চলাচলই বন্ধ করা উচিত, সেখানে তেলবাহী জাহাজ চলাচল তো আরও ঝুঁকিপূর্ণ। খবর: বিবিসি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।