আমের ওজন ৪ কেজি

আতিয়ারের ‘ব্রুনাই কিং’ ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাগুরা
প্রকাশিত: ০৮:৪৪ এএম, ৩০ জুন ২০২৩

ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলকিয়াহর বাগানের আম এখন মাগুরার ব্র্যান্ডিং জাত হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। বিশাল আকৃতি এবং একেকটি আমের ওজন প্রায় ৪ কেজি। সুস্বাদু উন্নত জাতের এ আমের গাছ ‘ব্রুনাই কিং’ নামে এরই মধ্যে মাগুরা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বাগানে জায়গা করে নিয়েছে।

২০১৪ সালে মাগুরার শালিখা উপজেলার শতখালি গ্রামের নার্সারি মালিক আতিয়ার রহমান ব্রুনাই থেকে এ জাতের আম গাছের কলম সংগ্রহ করেন। তারপর নিজের নার্সারিতে লাগানোর পর দুই বছরের মাথায় গাছে ফলন আসে। দেশের প্রচলিত অন্য জাতের তুলনায় কয়েকগুণ বড় এবং বেশি ওজনের কারণে অল্প দিনেই সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন: ঈশ্বরদীর বিষমুক্ত লিচু যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত 

jagonews24

নার্সারি মালিক আতিয়ার রহমান বলেন, ‘আমার ভাগ্নে ব্রুনাই সুলতানের আম বাগানে চাকরি করতো। তার মাধ্যমে গাছের কলম সংগ্রহ করি। এখন আমার হাত ধরে মাগুরা ছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা এমনকি ভারতেও ব্রুনাই কিং আমের গাছ পৌঁছে গেছে। জেনে ভালো লাগে। ব্রুনাই কিং জাতের আমের সুখ্যাতির কারণে অন্য নার্সারি মালিকেরাও এ জাতের চারা উৎপাদন করছেন। ফলে প্রতি বছরই এর আবাদ বেড়ে চলেছে।’

স্থানীয় আম চাষিরা বলেন, ‘মাগুরায় প্রথম আতিয়ার ভাই এ জাতের আমের চাষ শুরু করেন। এখন সারাদেশে ছড়িয়ে গেছে। আতিয়ার ভাইয়ের কারণে শতখালি গ্রামের নাম পরিচিতি পেয়েছে। এ আম সুস্বাদু এবং আঁশহীন। এ আম দেখে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার মানুষ এ জাতের চারা আবাদ করতে শুরু করেছে। সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী আমের আকার দেখে নাম রেখেছিলেন ‘বালিশা আম’।’

jagonews24

আরও পড়ুন: কারিশমা জাতের তরমুজ চাষে সবুজের সাফল্য 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পরিচালিত মাগুরার হর্টিকালচার সেন্টারের কর্মকর্তারাও ২০১৬ সাল থেকে এ উন্নত জাতের আমের আবাদ বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছেন। শতখালি গ্রামের নার্সারি মালিক আতিয়ার রহমানের কাছ থেকে চারা সংগ্রহ করে তারাও মাতৃগাছ তৈরি করেছেন। সেখান থেকে প্রতি বছর উৎপাদিত হচ্ছে চারা। যা দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়ছে।

মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিদ ইমদাদুল হাসান বলেন, ‘মাগুরায় অন্তত ৩০ জাতের আম গাছ আছে। এরমধ্যে একটি অন্যতম জাত হচ্ছে ব্রুনাই কিং। বড় সাইজের কারণে এটি বিদেশি হলেও মাগুরার ব্র্যান্ডিং জাত হিসেবে পরিচিত। এ জাতের চারা প্রচুর উৎপাদন হচ্ছে। বিভিন্ন জেলা থেকেও এ জাতের চারা সংগ্রহ করা হচ্ছে। সারাদেশে ব্যাপকভাবে ব্রুনাই কিং জাতের আমের আবাদ হলে দেশে বড় বাজার সৃষ্টি হবে। স্থানীয় আম চাষি ও ব্যবসায়ীরাও বেশি আয় করতে পারবেন।’

এসইউ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।