পলিনেট হাউজের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকার ফুল বিক্রি
শীতকালীন সবজির জন্য আর অপেক্ষায় থাকতে হবে না শীতের। গ্রীষ্ম বা বর্ষাকালের সবজিও পাওয়া যাবে যে কোনো সময়ে। এমন উৎপাদন থেকে বাদ যায়নি ফুলও। এসবই সম্ভব হচ্ছে পলিনেট হাউজ নামের চাষাবাদ পদ্ধতির মাধ্যমে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার একডালা গ্রামের শহিদুল ইসলাম এ পদ্ধতিতে ফুল ও সবজি চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন। আধুনিক প্রযুক্তিতে কৃষি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নিজের ২৫ শতক জমির ওপর এ হাউজ স্থাপন করেছেন তিনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, প্রকল্পের আওতায় ২৫ শতক জমির ওপর স্থাপন করা হয় পলিনেট হাউজ প্রদর্শনী। এতে ব্যবহার করা হয় উন্নতমানের পলি ওয়ালপেপার। লোহার অ্যাঙ্গেলের ওপর পলিপেপার দিয়ে তিনটি শেডে এ হাউজ নির্মাণ করা হয়। যার ব্যয় প্রায় ১৫ লাখ টাকা। এর স্থায়িত্বকাল ২০ বছর। এ পদ্ধতিতে প্রথম বছরেই শহিদুল ইসলাম সফলতা পেয়েছেন। শীতকালীন সবজির পাশাপাশি ফুল চাষ করে নতুন স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মরুর গোলাপ অ্যাডোনিয়ামের যত্ন নেবেন যেভাবে
সরেজমিনে জানা যায়, শহিদুল ইসলাম তার পলিনেট হাউজে গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকা, জারবেরা, গাজর, মুলা ও ধনিয়ার চাষ করছেন। এ হাউস এখন লাল, নীল, সাদা, হলুদসহ নানা রঙের ফুলে সেজে আছে।
শহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় পলিনেট হাউজে সবজির পাশাপাশি ফুল চাষ করছি। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ৬ লাখ টাকা। তবে এরই মধ্যে ১০ লাখ টাকার ফুল বিক্রি করেছি। নিজ জেলার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলায় এই ফুল পাইকারি বিক্রি করছি।’
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ পদ্ধতিতে যে কোনো মৌসুমের সবজি বা ফুল চাষ করা সম্ভব। এতে কৃষকও লাভবান হবেন। অন্যদিকে স্থানীয় সবজি ও ফুলের চাহিদা মিটবে।’
আরও পড়ুন: শীতের জনপ্রিয় ফুল কোনগুলো?
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর জাগোনিউজকে বলেন, ‘পলিনেট হাউজ প্রযুক্তির মাধ্যমে ভারী বৃষ্টি, তীব্র তাপদাহ, কীটপতঙ্গ, ভাইরাসজনিত রোগ ইত্যাদির মতো প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও নিরাপদ থাকবে ফুল, শাক-সবজি এবং ফল-মূলসহ সব ধরনের কৃষি উপাদান।’
এম এ মালেক/এসইউ/জিকেএস