ধানের বাদামি দাগ রোগ প্রতিকারে করণীয় জানালো কৃষি তথ্য সার্ভিস

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫৮ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০২৩
ফাইল ছবি

ধানগাছে বাদামি দাগ রোগ চারা অবস্থা থেকে যে কোনো বয়সে হতে পারে। তবে চারার বয়স বেশি হলে এ রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। মাটিতে পুষ্টি উপাদানের অভাব বা পানির অভাব হলে রোগের মাত্রা বেড়ে যায়। এর লক্ষণ ও প্রতিকার জানিয়েছে কৃষি তথ্য সার্ভিস।

রোগের লক্ষণ
পাতায় প্রথমে তিলের দানার মতো ছোট ছোট দাগ পড়ে। এ দাগ বড় হয়ে মাঝখানে সাদা ও কিনারা বাদামি হয়ে যায়। এরপর একাধিক দাগ মিলে বড় দাগ সৃষ্টি হয়ে পাতাটিকে মেরে ফেলতে পারে। আবার ধানের পাতার চেয়ে রোগটি বীজেও বেশি দেখা যায়। রোগ আক্রান্ত গাছে অপুষ্ট বীজ হয় ও বাদামি বর্ণ হয়।

agr

ছবি: কৃষি তথ্য সার্ভিস

প্রতিকার
সুস্থ বীজ বপন করতে হবে। বীজ বপনের আগে গরম পানিতে (৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে) শোধন করতে হবে। আক্রান্ত হলে কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক অথবা কার্বোক্সিন + থিরাম গ্রুপের ছত্রাকনাশক (যেমন- প্রোভ্যাক্স ২০০ ডব্লিউপি) প্রতি কেজি বীজে ২ দশমিক ৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে শোধন করতে হবে।

আক্রমণ কমাতে জৈব সার ব্যবহার করতে হবে। জমিতে সঠিক পরিমাণ নাইট্রোজেন ও পটাশ সার ব্যবহার করলে রোগ কমে যায়। এছাড়া সঠিক পানি ব্যবস্থাপনা রোগ আক্রান্তের হার কমায়।

জমিতে রোগ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রোপিকোনাজোল গ্রুপের ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে শূন্য দশমিক ৫ গ্রাম হারে অথবা টেবুকোনাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি হারে মিশিয়ে ১০ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।

এনএইচ/এএএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।