২ বছরের পরিশ্রমে মাসে ১৮ লাখ টাকার ফল বিক্রি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বরগুনা
প্রকাশিত: ১১:৫৪ এএম, ২০ জানুয়ারি ২০২৩

মহামারি করোনা যখন পৃথিবীজুড়ে; তখন একপ্রকার ঘরবন্দি থাকতে হয়েছে সবাইকে। সে সময়ে কর্মসংস্থান তৈরিতে ফলের বাগান করার সিদ্ধান্ত নেন মো. মোশারেফ হোসেন। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ১৮ লাখ টাকার ফল বিক্রি হয়েছে তার বাগান থেকে।

বরগুনা সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের হাজার বিঘার মৃত মোসলেম আলী হাওলাদারের ছেলে মো. মোশারেফ হোসেন দিশারী এগ্রো নামে ফলের বাগানটি তৈরি করেন। বর্তমানে বরগুনার বিভিন্ন জায়গায় তার মোট ৬ একর জমিতে চারটি বাগান আছে।

jagonews24

আরও পড়ুন: কমলা চাষে সফল ছরোয়ার, বাগানেই ৮০ ভাগ বিক্রি 

এ বিষয়ে মোশারেফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘করোনাকালে ঘরের বাইরে বের না হতে পেরে ফলের বাগান করার চিন্তা করি। আমার বাবা, দাদা কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই তাদের সঙ্গে মাঠে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। এ ছাড়া বাগানকে ত্রুটিমুক্ত রাখতে সময় পেলেই দেশের বিভিন্ন বাগান পরিদর্শন করে আমার বাগানের ভুল খুঁজে সংশোধন করি।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমার বাগানগুলোয় বিভিন্ন জাতের বরই, আম, পেয়ারা, মাল্টা, কমলা, থাই শরিফা ও সফেদা গাছ আছে। গত বছরের ডিসেম্বরে বাগান থেকে ১৮ লাখ টাকার ফল বিক্রি করেছি। এর মধ্যে পেয়ারা এবং আম বছরের সব সময়ই পাওয়া যায়। এখনো বাগানে যে পরিমাণ বরইসহ অন্য ফল আছে, তাতে আরও ১৫-১৬ লাখ টাকার ফল বিক্রি হবে। আগামীতে আরও ৪ একর জমিতে বাগান করার পরিকল্পনা আছে।’

আরও পড়ুন: ২ বছরে ২২ লাখ টাকার ফল বিক্রি করেছেন দেলোয়ার

বাগান ঘুরে দেখাা যায়, বাগানের কর্মীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। গাছ থেকে বরই, পেয়ারা ও অন্য ফল সংগ্রহ করছেন। কেউ করছেন পরিচর্যা। মো. ওবাইদুল বলেন, ‘আমি বাগানের শুরু থেকেই কাজ করছি। এখানে কাজ করে মাসে ২০-২৫ হাজার টাকা বেতন পাই। যা অন্য কাজের তুলনায় বেশি।’

jagonews24

স্থানীয়রা জানান, মোশারেফ হোসেন মাত্র দুই বছরের মধ্যে সফল হয়েছেন দেখে আমরা আনন্দিত। পাশাপাশি তার বাগানে গ্রামের অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে। অনেকেই তাকে দেখে বাগান তৈরিতে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।

আরও পড়ুন: পোরশায় ড্রাগন চাষে বছরে আয় কোটি টাকা 

বরগুনা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সৈয়দ মো. জোবায়দুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভবিষ্যতে বাগান সংখ্যা বাড়লে বরগুনার অনেকের কর্মক্ষেত্র তৈরি হবে। পাশাপাশি বরগুনায় ফলের চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে যাবে এ বাগানের ফল।’

এসইউ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।