ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বীজতলা রক্ষা করবেন যেভাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫২ পিএম, ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সারাদেশে ঘন কুয়াশা পড়া শুরু হয়েছে। এ কুয়াশা আগামী শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) পর্যন্ত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা প্রবল। এমতাবস্থায় কৃষকদের জন্য ধান গাছের বৃদ্ধির পর্যায়ে করণীয় নিয়ে পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)।

আবহাওয়া পূর্বভাস বিশ্লেষণের পরে গবেষণা সংস্থাটি বলছে, মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) থেকে ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সব জেলায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার বিস্তার শুরু হয়েছে। বধবার রাতে রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের সব জেলায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা প্রবাহিত হবে। রাতের মধ্যে কুয়াশা সিলেট বিভাগের সব জেলায় বিস্তার লাভ করবে।

এ কুয়াশা আগামী শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) পর্যন্ত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা প্রবল। পুরো হিমালয় পর্বতের পাদদেশ কুয়াশায় আচ্ছন্ন। এ কুয়াশা উত্তর-পশ্চিম দিকে থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। এ কুয়াশার চাদরের পুরোটাই বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে যাদি না হঠাৎ করে বায়ু প্রবাহের দিকের পরিবর্তন হয়, যার সম্ভাবনা খুবই কম। কুয়াশা শুক্রবারের পরে শেষ হয়ে গেলেও এর পরে বাতাসের তাপমাত্রা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকবে তবে ঠাণ্ডা বাতাস বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত।

এসময় উৎপাদন ব্যবস্থাপনা/সম্ভাব্য সমস্যা ও করণীয়:
কুয়াশা ও তীব্র শীতের এ অবস্থায় বীজতলায় ৩-৫ সেন্টিমিটার পানি ধরে রাখতে হবে। স্বচ্ছ পলিথিনের ছাউনি দিয়ে বীজতলা সারাদিন রাত ঢেকে রাখতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে পলিথিনের সঙ্গে চারার পাতা যেন স্পর্শ না করে।

প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৭০-৮০ গ্রাম থিওভিট অথবা কমুলাস ভাল ভাবে মিশিয়ে ৪-৫ শতাংশ বীজতলায় স্প্রে করা যেতে পারে।

এসময় বীজতলা স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে নীলা বালি সকালে বের করে দিয়ে আবার নতুন পানি দেওয়া। প্রতিদিন সকালে চারার ওপর জমাকৃত শিশির ঝরিয়ে দিলে চারা শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পায় এবং স্বাভাবিকভাবে বাড়তে পারে।

এনএইচ/এমআইএইচএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।