মৎস্য নিয়ে কাজ করার যোগ্যতাসম্পন্ন লোক পাচ্ছি না: মৎস্যমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, প্রতি উপজেলায় দুইজন করে মৎস্য কর্মকর্তা রয়েছেন। অনেক উপজেলায় আমরা যোগ্যতাসম্পন্ন কাউকে খুঁজে পাচ্ছি না। সারাবিশ্বে ফিশারিজ সেক্টরে একটি বিপ্লব চলছে। বিদেশ থেকে এ সেক্টরে বিভিন্ন ইনভাইটেশন আসে, আমরা লোক পাঠাতে পারি না।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্যমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, মৎস্যখাতে আমরা বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতার প্রমাণ পাই। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ভবিষ্যতে মাছ হবে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দ্বিতীয় প্রধান মাধ্যম।’
তিনি বলেন, আমাদের ১০০ কোটি টাকা আছে এখানে রিসার্চ করার জন্য কিন্তু কোনো রিসার্চ অফার পাচ্ছি না। আপনারা ভালো রিসার্চ অর্গানাইজেশন করলে অলস পড়ে থাকা টাকাগুলোর সঠিক ব্যবহার হবে। ফিস ফার্ম, হ্যাচারির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বনিম্ন ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দিচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ। ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ গেলে বোঝা যায় আসলে বাংলাদেশে কত বেশি মাছ চাষ হচ্ছে।
‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জ্ঞান চর্চা ও গবেষণা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামে জ্ঞান অর্জনের জন্য চীন দেশে যেতে বলা হয়েছে। গীতায় উল্লেখ আছে, তুমি যদিজ্ঞানী হও তবে সমাজে সম্মানিত হবে। যদি জ্ঞানকে ও কর্মকে সমাজের কল্যাণে কাজে লাগাতে পারো তবে বেশি সম্মানিত হবেন। মৎস্যক্ষেত্রে গবেষণা করে সমাজ ও রাষ্ট্রের কাজে লাগাতে পারলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়া সম্ভব হবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খঃ মাহবুবুল হক, মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মুনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
আল-সাদী ভূঁইয়া/এমআরএম/জিকেএস