ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শীতকালীন তরমুজ চাষ


প্রকাশিত: ১২:২৩ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০১৪

গ্রীষ্মকালীন রসালো সুস্বাদু ফল তরমুজ। গ্রীষ্মকালে নয় এখন  সারা বছর চাষ হচ্ছে এ ফলটি ! তাও আবার ফরমালিন ও বিষমুক্ত। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দু’জন কৃষক বছরব্যাপী এ তরমুজ চাষ করে সাফল্য দেখিয়েছেন। এবং স্বাবলম্বী  হয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার মোহাম্মদ পুর গ্রামের জামাল উদ্দিন ও মহিউদ্দিন দুই বন্ধু। জামাল উদ্দিন একজন বিদেশ ফেরত আর মহিউদ্দিন একজন গ্রামের হোমিও প্যাথিক চিকিৎসক। গত দুবছর ধরে তারা তরমুজ চাষ করছেন। বছরে ৩ বার ফলন মেলে। এসব তরমুজ রাজধানী ঢাকার কারওয়ান বাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। ৮ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করছেন তারা। প্রতি বিঘা জমিতে ৭০/৮০ হাজার টাকা খরচ হয়। এ পর্যন্ত তাদের ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। তারা প্রায় দ্বিগুন আয় করবেন বলে তাদরে বিশ্বাস। ৩ বার তরমুজ চাষের পর তারা টমেটো, লাউসহ অন্যান্য সবজি ও চাষ করে একই জমিতে।

তারারা জানিয়েছেন, তরমুজ চাষ খুবই লাভজনক। ৩ মাসেই চারা গাছ রোপন ও তরমুজ বড় হয়ে বাজারে পাঠানোর উপযুক্ত হয়। কোনো প্রকার ফরমালিন বা ক্যামিক্যাল ব্যবহার না করায় টাটকা থাকে। তাই চাহিদা অনেক বেশী।

তাদের দেখা মতে অনেকেই এখন তরমুজ চাষে উৎসাহিত হচ্ছে। তিতাস এগ্রো ফার্ম লিঃ নামে একটি ফার্ম যৌথ ভাবে কাজ করছে। এতে ১৫ থেকে ২০ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কে এম বদরুল হক জানান, এ এলাকায় ব্যাপক আকারে তরমুজের চাষ হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফল পাঁকা পর্যন্ত ৩ মাস সময় লাগে। ওজনে প্রতিটি তরমুজ ৩ থেকে ৪ কেজি হয়। এলাকার মানুষ তাদের চাষ দেখে উৎসাহিত হচ্ছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।