বাসাইলে জনপ্রিয় হচ্ছে ভার্মি কম্পোস্ট সার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ০৮:৩২ এএম, ২৪ অক্টোবর ২০২১

টাঙ্গাইলের বাসাইলে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার। কম দাম, অধিক কার্যকারিতা, পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী হওয়ায় এ সার ব্যবহারে অনেক কৃষক আগ্রহী হচ্ছেন। হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা, গবাদিপশুর গোবর, শাক-সবজির উচ্ছিষ্ট, খোসা ও কচুরিপানার মিশ্রণে প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদন করা হয় কেঁচো সার, যা ভার্মি কম্পোস্ট সার নামে অধিক পরিচিত। পচনশীল দ্রব্য দিয়ে তৈরি ভার্মি সার ব্যবহারে জমির গুণগত মান ঠিক থাকে।

উপজেলার নর্থখোলা গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলাম জানান, এ সার খুব উপকারী। আমি নিজে ব্যবহার করি। বাকি সার আশপাশে কৃষকের কাছে বিক্রি করি। প্রথমে আমি কৃষি অফিস থেকে ১০টি রিং আর কেঁচো পাইছিলাম। এরপর চাহিদা দেখে নিজ খরচে আরও ৮টি রিং আমি বসিয়েছি।

উপজেলার দাপনজোর গ্রামের ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনকারী কৃষক হোসেন আলী বলেন, একটি রিং এ ৫০ কেজি ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি করা যায়। সার তৈরিতে প্রয়োজন হয় কেঁচো, পচা গোবর, হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা, তরকারির খোসা ও কচুরিপানা। সব উপকরণ না পেলেও কেঁচো, কলার খোসা ও পচা গোবর দিয়ে এ সার তৈরি করা যায়। আমি কৃষি অফিস থেকে ১০টি রিং আর কেঁচো পেয়েছিলাম। এখন আমার কাছে ২৫টি রিং রয়েছে। এ সারের যে উপকার তাতে আমি আরও রিং বাড়াবো।

বাসাইল উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, ৫০ কেজি সার উৎপাদন করতে সময় লাগবে এক থেকে দেড় মাস। ৫০ কেজি ভার্মি কম্পোস্ট ৩০ শতক জমিতে ব্যবহার করা যায়। ভার্মি কম্পোস্ট তৈরিতে তেমন খরচ না হওয়ায় কৃষকরাও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।

এ বিষয়ে বাসাইল উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা নাজনিন আক্তার জানান, আমরা উপজেলা থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের বিনামূল্যে ভার্মি কম্পোস্ট তৈরির উপকরণ দিয়েছি। এ সারের উপকারিতা দেখে দিন দিন কৃষকরা নিজ খরচেই এ সার তৈরি করছে।

আরিফ উর রহমান টগর/এমএমএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।