মাগুরায় বাঙ্গির ব্যাপক ফলনে লাভবান কৃষকরা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাগুরা
প্রকাশিত: ১২:৩০ পিএম, ১১ মে ২০২১

বাঙ্গি একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। প্রচণ্ড গরমে বাঙ্গি প্রাণে এনে দেয় স্বস্তি। গ্রীষ্মকালে শরীর ঠান্ডা রাখতে বাঙ্গির জুড়ি মেলা ভার। চলতি মৌসুমে মাগুরা জেলার বিভিন্ন মাঠে বাঙ্গি চাষ করেছেন শতাধিক কৃষক।

স্থানীয় বাঙ্গি চাষিরা জানান, কম পুঁজিতে বেশি মুনাফা ও প্রচুর ফলন হওয়ার কারণে প্রতি বছর তারা বাঙ্গির চাষ করে আসছেন। এ দু'টি গ্রাম এখন মৌসুমী ফল বাঙ্গির জন্য বিখ্যাত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া এলাকার কৃষি জমি বাঙ্গি চাষের জন্য খুবই উপযোগী।

তাই জীবন জীবিকার জন্য প্রধান ফসল হিসেবে এখানে দীর্ঘদিন ধরে বাঙ্গি চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেক কৃষক। অনেকে কাঁচা বাঙ্গি সবজি হিসেবে রান্না করে খেয়ে থাকেন। ফল পাকলে হলুদ রঙ ধারণ করে। বাঙ্গি মূলত পাকা ফলের সুমিষ্ট সৌরভের কারণে বিখ্যাত। একটু বেশি পেকে গেলে বাঙ্গি ফেটে যায়।

তাই অধিকাংশ বাঙ্গি ফাটা দেখতে পাওয়া যায়। ফলের ওজন এক থেকে চার কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এটি চাষের খরচ তুলনামূলক কম, আয় বেশি। তাই চাষিরা বাঙ্গি চাষে বেশ আগ্রহী। বাঙ্গি চাষের জন্য শুষ্ক ও উষ্ণ জলবায়ু সবচেয়ে উপযোগী। উর্বর বেলে দো-আঁশ ও পলি মাটি বাঙ্গি চাষের জন্য বেশি ভালো।

বাঙ্গি চাষি দেলোয়ার বলেন, এবার দুই বিঘা জমিতে বাঙ্গির চাষ করেছি। সব মিলিয়ে প্রায় চল্লি­শ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। এখন পর্যন্ত এক লাখ বিশ হাজার টাকার বাঙ্গি বিক্রি করেছি। আরো প্রায় ৮থেকে ১০ হাজার টাকার বাঙ্গি মাঠে রয়েছে।

আরেক কৃষক শরিফ বলেন, আমাদের বাঙ্গি বীজ নিজেরাই সংগ্রহ করে রাখি পরবর্তী বছরের জন্য। গতবছর বৃষ্টি ও শিলা হওয়াতে বাঙ্গি চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। তবে চলতি বছরে বাঙ্গির উৎপাদন থেকে প্রচুর লাভ হয়েছে।

এ বিষয়ে মাগুরা কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক বলেন, চলতি মৌসুমে মাগুরায় বাঙ্গির চাষ তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ চাষ সফল করার জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সার বীজ বিতরণ করা হয়।

এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংক কৃষকদের স্বল্প সুদে কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

মো. আরাফাত হোসেন/এমএমএফ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।