১ লাখ টাকা খরচে ৬ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রির আশা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক খুলনা
প্রকাশিত: ০১:০২ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০২১

খুলনার উপকূলীয় উপজেলা পাইকগাছার লবণাক্ত এলাকায় তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছর উপজেলায় ১১শ’ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলেও তরমুজের ফলনের কোন সমস্যা হয়নি।

ঔষধী গুণের পাশাপাশি তরমুজ একটি লাভজনক ফসল হওয়ায় উপজেলার দু'টি ইউনিয়নে দীর্ঘদিন তরমুজ হয়ে আসছে। গত বছর উপজেলায় ৫১০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ১১শ’ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। যার মধ্যে দেলুটি ইউনিয়নে এক হাজার হেক্টর ও গড়ইখালী ইউনিয়নে ১শ’ হেক্টর। গড়ইখালী ইউপির প্রিতিষ মন্ডল ও দ্বিজেন মন্ডল জানান, আমরা দু’জন সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। এ জমিতে চাষ করতে ৫৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি ৩ লাখ টাকা বেচা-কেনা হবে।

তারা আরো বলেন আমরা এক বিঘা জমিতে পানি, সার কীটনাশক ছাড়াই চাষ করেছি। দেখা গেছে পানি কীটনাশক ছাড়া চাষে প্রতি বিঘা জমিতে ৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। এ এক বিঘা জমিতে প্রায় ১ লাখ টাকা বিক্রি হবে বলে আশা করছে। একই এলাকার প্রসনজিৎ ও দিপক জানান আমরা ৬ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। আমাদের মোট খরচ হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। আশা করছি ৬ লাখ টাকার মত বিক্রি হবে।

দেলুটির দারুণ মল্লিক এলাকার নিশিত জানান এ বছর আমি ৫ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করেছি। বর্তমানে ফসলের অবস্থা খুবই ভালো। এ বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, তরমুজ একটি লাভজনক ফসল। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে চাষ শুরু করা হয় এবং এপ্রিলের শেষের দিকে বাজারজাত করা যায়। তরমুজ চাষে এক বিঘা জমিতে ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়।

খুব বেশি পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। সার-পানি দিলেই হয়। এক বিঘা জমির উৎপাদিত তরমুজ ১ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে এই এলাকার তরমুজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এখানকার উৎপাদিত তরমুজ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়।

আলমগীর হান্নান/এমএমএফ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।