পথচারীদের মন কাড়ছে সূর্যমুখী
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনার বিস্তৃত সূর্যমুখী বাগানের এই হলুদ দৃশ্যটি যে কারো দৃষ্টি কাড়বে। তাই তো এই বাগান পথচারী ও পর্যটকদের কাছে টানছে। সূর্যমুখীর এই বাগান ঘিরে চলছে ‘দর্শনার্থীদের আনন্দ উৎসব। শুধু স্থানীয় নয় বাগানটিকে এক নজর দেখার জন্য প্রতিদিনই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।
চার বিঘার জমিতে সূর্যমুখী ফুলের বাগান। ফুটে আছে হাজারও হলুদ বর্ণের সূর্যমুখী ফুল। যে দৃশ্য প্রকৃতিপ্রেমীদের মন জয় না করার কোনো উপায় নেই। ফুলের সৌন্দর্য পথচারী ও পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে। সূর্যমুখী ফুলের সাথে স্মৃতি ধরে রাখতে পরিবার পরিজন নিয়ে তুলছেন বিভিন্ন রকমের ছবি।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা গ্রামের মহিমারঞ্জন স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিমে স্থানীয় কৃষক খোরশেদ আলম (৩৪) এর সূর্যমুখী ফুল বাগান এটি।
সূর্যমুখী ফুল বাগান দেখতে আসা দর্শনার্থী প্রিয়াঙ্কা রায় বলেন, সূর্যমুখী ফুলের বাগানের কথা শুনেই সবাইকে নিয়ে ছুটে আছি। সূর্যমুখীর বাগান প্রথম দেখলাম। রবিউল গাজী নামের একজন দর্শনার্থী জানান, এই সূর্যমুখী ফুল বাগানটি মানুষের নজরে আসছে। তাই আমরাও সৌন্দর্য উপভোগ করতে সবাই মিলে দেখতে এসেছি। খুব ভালো লাগলো। পরিবেশটা খুব সুন্দর।
সূর্যমুখী ফুল চাষি খোরশেদ আলম জানান, এই প্রথম ৪ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করে বিপদে আছি। দিন দিন দর্শনার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে। সারাদিন এখানে পড়ে থাকতে হয়। মানুষ সামাল দেয়া আমার জন্য অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তিন আরও জানান, আমার জমিতে ভালো সূর্যমুখী চাষ হয়েছে ঝড় বৃষ্টি না হলে আশা করি ভালো দাম পাব।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দা সিফাত জাহান জানান, সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। এলাকায় সূর্যমুখী চাষ কম হওয়ায় মানুষের আর্ষণ বেশি। তিনি আরও বলেন, কৃষকের ক্ষতি না করে এবং বাগান নষ্ট না করতে দর্শনার্থীদের প্রতি অনুরোধ জানান ।
লালমনিরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. শামীম আশরাফ বলেন, জেলার ৫টি উপজেলায় প্রায় ৮০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। তিনি আরও জানান, সূর্যমুখী চাষের জন্য কৃষকদের উৎসাহ, পরামর্শ ও বিভিন্নভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। আশা করি আগামীতে লালমনিরহাট জেলায় দ্বিগুণ সূর্যমুখী চাষ হবে।
মো. রবিউল হাসান/এমএমএফ/জিকেএস