মাগুরায় যে কারণে বাড়ছে ভুট্টার চাষ
মাগুরায় চলতি ২০২০-২১ রবি মৌসুমে ৩’শ ৬০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে। এতে ফলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৮৭ হাজার মেট্রিক টন ভুট্টা। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবারও বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, মাটির গুণাগুণ অনুযায়ী ভুট্টা চাষ উপযোগী হওয়ায় মাগুরায় ভুট্টার চাষ বেশি হয়ে থাকে। কৃষকদের ভুট্টা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
বিএডিসির পক্ষ থেকে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ভুূট্টা বীজ সরবরাহ করা হয়েছে । ভুট্টা চাষে শ্রমিক ও পরিচর্যা খরচ তুলনামূলক কম হওয়ার কারণে লাভ হয় বেশি।
ধুলহারা গ্রামের কৃষক নাথান জানান, ফলন ভালো ও ভুট্টা চাষ লাভজনক হওয়ায় প্রতিবারের মতো এবারও দেড় বিঘা জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন তিনি। ভুট্টা স্বল্প পানির চাহিদা সম্পন্ন ফসল হিসেবে জনপ্রিয়।
ভুট্টা আবাদে বীজ বপনের ২৫-৩০দিন পর প্রথমবার সেচ প্রয়োগ ও আগাছা দমন, ৫০-৫৫ দিন পর দ্বিতীয়বার, ৭০-৭৫দিন পরে তৃতীয়বার হালকা সেচ প্রয়োগ করলে বাম্পার ফলন পাওয়া যায়। রোগ বালাই, পোকা মাকড়ের আক্রমণ খুবই কম হয় ভুূট্টাতে। ফলে জেলায় দিন দিন ভুট্টার চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামানিক জাগো নিউজকে বলেন, জেলায় এবার ৩’শ ৬০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৮৫ হেক্টর, শালিখায় ৭৫ হেক্টর, শ্রীপুরে ৬০ হেক্টর ও মহম্মদপুর উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে এ চাষ করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে এ চাষ সফল করতে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূিচর আওতায় প্রতিজন ভুট্টা চািষকে ২ কেজি বীজ, ১০ কেজি এমওপি সার ও ২০ কেজি ডিএপি সার দেয়া হয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
মো: আরাফাত হোসেন/এমএমএফ/জিকেএস
