মিষ্টি কুমড়ায় করোনার প্রভাব, বিপাকে চাষিরা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠি
প্রকাশিত: ০১:৫২ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০২০

কয়েক বছর ধরে মিষ্টি কুমড়া চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়ে আসছিলেন ঝালকাঠির চাষিরা। তারা তুলনামূলক অন্য ফসলের চেয়ে বেশি লাভবান হয়েছিলেন। এ বছরও লাভের আশায় বেশি জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করে বিপদে পড়েছেন তারা।

করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে মিষ্টি কুমড়ার ক্ষেতে। শতশত হেক্টর জমির কুমড়া এখন পাকতে শুরু করেছে। বাজারজাত করার মোক্ষম সময় এখন। কিন্তু দেশব্যাপী লকডাউনের কারণে পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় বাজারজাত করতে না পারা ও পাইকার না আসায় বিপাকে পড়েছেন তারা।

সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী গ্রামের চাষি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ক্ষেতে কুমড়া পাকতে শুরু করেছে। এর মধ্যে লকডাউন। বাজারে নিতে পারছি না। পাইকারদের কাছেও বিক্রি করতে পারছি না। সেদিন শিলাবৃষ্টিতে গায়ে দাগ পড়েছে, ছিদ্র হয়ে পচন ধরেছে। এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারব না।’

jagonews24

একই গ্রামের বর্গাচাষি শাহ আলম জানান, তারা মিষ্টি কুমড়া সাথী ফসল হিসেবে আবাদ করেন। এ বছর আলু চাষ করে খুব একটা লাভ হয়নি। কুমড়া চাষ করে সে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আশা করেছেন। এ ছাড়া আমন ধান ওঠা পর্যন্ত কুমড়া বিক্রি করে সংসারের খরচ জোগান।

নুরুল্লাপুর গ্রামের হাজী আবদুল হাই জানান, তিনি ২০-২৫ বছর ধরে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেন। এর আগে প্রতিবছর বেশ লাভবান হয়েছেন। লাভের আশায় অনেক বড় পুঁজি বিনিয়োগ করে তার পরিবার এখন ঝুঁকির মুখে।

জানা গেছে, প্রতি হেক্টর জমিতে কুমড়া চাষে খরচ হয়েছে প্রায় ৮ হাজার টাকা। এ বছর জেলায় ২৬০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ফজলুল হক মিয়া বলেন, ‘পরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় মিষ্টি কুমড়া বাজারজাত করতে না পারায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে চাষিরা। সরকারি প্রণোদনা পেলে যথানিয়মে চাষিদের মাঝে বিতরণ করা হবে।’

মো. আতিকুর রহমান/এসইউ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।