গরু কচুরিপানা খেতে পারলে আমরা পারব না কেন : পরিকল্পনামন্ত্রী
সব ধরনের কৃষিপণ্যের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতের কথা বলতে গিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, গরু কচুরিপানা খেতে পারলে আমরা খেতে পারব না কেন?
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে আরডিএফ রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ফোরামের ‘রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’ এ অংশ নিয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় রূপান্তর কৃষিতেই হয়েছে। ওখান থেকে অন্যান্য ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়েছে।’
এম এ মান্নান বলেন, ‘পোস্ট হারভেস্ট লস্ট (উৎপাদন পরবর্তী খাদ্যের অপচয়) কীভাবে কমানো যায়, এ বিষয়ে গবেষণা করুন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই ক্ষোভ প্রকাশ করেন, কেন বেশি গবেষণা হচ্ছে না। গবেষণার জন্য এ সরকার উন্মুখ হয়ে আছে।’
‘আর কচুরিপানা নিয়ে কিছু করার যায় কি-না। কচুরিপানার পাতা খাওয়া যায় না কোনো মতে? গরু তো খায়। গরু খেতে পারলে আমরা খেতে পারব না কেন?’ এ বিষয়ে গবেষণারও তাগিদ দেন মন্ত্রী।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘দেশে আরও বেশি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কেউ কেউ বলেন, এত প্রতিষ্ঠান কেন? ১৬ কোটি মানুষের দেশ এটা। আনুপাতিক হিসাব করলে আমরা এখনো ওই পর্যায়ে যাইনি, যে লেভেলে পশ্চিমারা আছে। তাই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আরও বেশি প্রতিষ্ঠান গড়তে হবে। মান নিয়ে অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীও করেন। তার ধারণা, চাপের মুখে মানোন্নয়ন হবে।’
অর্থনীতিতে অবদানের জন্য পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (জ্যেষ্ঠ সচিব) ড. শামসুল আলম এবং কৃষিতে অবদানের জন্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্টিকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এ রহিমকে অনুষ্ঠানে ‘রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’ পুরস্কার দেয়া হয়। এছাড়া চার শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ দেয় আরডিএফ রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ফোরাম।
পিডি/এইচএ/পিআর