ইঁদুরের মৃত্যুদণ্ড
কৃষকের ক্ষেতের ফসল খেয়ে সাবাড় করার অপরাধে শেরপুর খামারবাড়ীতে এক ইঁদুরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। শেরপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. হায়দার আলী ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. আব্দুস সালাম বালতির পানিতে চুবিয়ে ওই ইঁদুরের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করেন।
বুধবার দুপুরে ইদুঁরের এই মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার মধ্য দিয়েই শেরপুরে মাসব্যাপী ইঁদুর নিধন অভিযানের শুভ সূচনা করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, মিডিয়াকর্মী সহ বিভিন্ন আইসিএম ক্লাবের ৮০ জন সদস্যসহ কৃষক-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।
ইঁদুর নিধন অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষি বিশেষজ্ঞারা বলেন, প্রতিবছর প্রায় ১৫ লক্ষ টন খাদ্যশস্য ইঁদুর খায় বা নষ্ট করে। এরা মাঠের শস্য কেটে-কুটে খেয়ে, গর্তে জমা করে, গোলাজাত ফসল নষ্ট করে। রাস্তাঘাট, সেচ নালা, বাঁধ, পুকুরপাড়, রেললাইন, বাসাবাড়ী দালানকোঠায় গর্ত খুঁড়ে ভীত দূর্বল করে দেয় এবং অবকাঠামোর বিপর্যয় ঘটায়।
কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, ইঁদুর খুব চতুর প্রাণী। ৫-৯ সপ্তাহ বয়স হতেই ইঁদুর বাচ্চা দেওয়ার ক্ষমতা লাভ করে। প্রতিবার ৬-৮ টি করে বছরে ৮/১০ বার বাচ্চা প্রসব করে। সুষ্ঠু পরিবেশ ও খাবার পেলে এক জোড়া ইঁদুর বছরে ৩ হাজার টি ইঁদুর জন্ম দিতে পারে। এমনকি বাচ্চা জন্মদানের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ফের গর্ভধারন করতে পারে।
অভিযানকালে সর্বাচ্চ ইঁদুর নিধনকারী সেরা তিনজনকে সরকারীভাবে পুরস্কৃত করার ব্যবস্থাও রয়েছে বলে জানানো হয়।