এক ফোঁটা অশ্রু থেকে জন্ম হয় রুদ্রাক্ষ

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:০৭ পিএম, ০৭ মে ২০১৯

রুদ্রাক্ষের মালা হাজার বছর ধরে হিন্দু সম্প্রদায়, বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং বাউলদের ব্যবহার করতে দেখা যায়। কিন্তু এর উৎপত্তি বা ক্রমবিকাশ সম্পর্কে অনেকেই হয়তো জানি না। আসুন জেনে নেই রুদ্রাক্ষের আদি-অন্ত। বিস্তারিত জানাচ্ছেন মঞ্জুর মোর্শেদ রুমন-

রুদ্রাক্ষ শব্দটি সংস্কৃত ভাষার। যার অর্থ রুদ্রের চোখ বা শিবের চোখ। পৌরাণিক কাহিনি মতে, দুর্বিনীত অসুর ত্রিপুরকে বধ করতে গিয়ে শিব দীর্ঘকাল অপলক নেত্রে যুদ্ধ করেন। যে কারণে তার অবসাদগ্রস্ত চোখ থেকে মাটিতে গড়িয়ে পড়ে এক ফোঁটা অশ্রু। সেই অশ্রুকণা থেকেই জন্ম হয় রুদ্রাক্ষের।

rudra-in-(1)

রুদ্রাক্ষ ফুল Elaeocarpaceae পরিবারের সদস্য। এর বৈজ্ঞানিক নাম Elaeocarpus ganitrus। রুদ্রাক্ষ গাছ দেখতে কিছুটা বকুল গাছের মতো। পরিপক্ক গাছের শেকড়ে ঝাউ-শিমুল-বুদ্ধনারিকেল গাছের মতো অধিমূল দেখা যায়। গাছের ফল দেখতে গাঢ় নীল রঙের। যে কারণে এর ইংরেজি নাম বলয়ে marble তরী বা বলয়ে berry beads।

রুদ্রাক্ষের ক্ষেত্রে মুখ সংখ্যা অতি গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষই দেখতে পাওয়া যায় সবচেয়ে বেশি। তবে ১ থেকে শুরু করে ৩৮ মুখী পর্যন্ত রুদ্রাক্ষের সন্ধানও পাওয়া যায়। সহজলভ্য নয় বলে ১৪ থেকে ২১ মুখী রুদ্রাক্ষের মূল্যও বেশি।

rudra-in-(1)

যাবতীয় নানামুখী রুদ্রাক্ষের মধ্যে সবচেয়ে দুর্লভ বোধ হয় সুশ্রী এবং গোলাকার একমুখী রুদ্রাক্ষ। যা আজকাল অতিশয় দুর্লভ। শোনা যায়, ভারতের টাটা কোম্পানি ৭০ লাখ টাকা মূল্যের একটি একমুখী রুদ্রাক্ষ বংশ পরম্পরায় রক্ষা করে আসছে।

এসইউ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।