ক্ষতির আশঙ্কায় আগাম ধান কাটছে কৃষকরা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মৌলভীবাজার
প্রকাশিত: ০২:৫৭ পিএম, ০৯ এপ্রিল ২০১৯

মৌলভীবাজারে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ধানের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছে কৃষকরা। জেলার অন্যতম খাদ্যভান্ডার হাকালুকি হাওর পাড়ের কৃষকদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। কারণ ভারতের সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টি হলে সে পানি দ্রুত চলে আসে হাকালুকি হাওরে।

হাকালুকিসহ কয়েকটি হাওর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হাওরাঞ্চলে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে আগাম বৃষ্টির কারণে কৃষকের মনে ফসল হারানোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনের অতিবৃষ্টিতে কৃষকদের মনে পানি বাড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ফসল হারানোর ভয়ে আধাপাকা ধান কাটা শুরু করেছেন তারা।

জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ৫৩ হাজার ১৬২ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। গত বছর ৫৪ হাজার ১২ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছিল। গত বছরের চেয়ে ৮৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ কম হয়েছে। আবাদ কম হওয়ার কারণ হিসেবে কৃষি অফিস বলছে, সময়মতো বৃষ্টি কম হওয়ায় এ বছর বোরো আবাদ কম হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা ছিল ৫৩ হাজার ১১৬ হেক্টর। এ বছর লক্ষমাত্রার চেয়ে ৪২ হেক্টর বেশি আবাদ হয়েছে।

Dhan--(1)

কুলাউড়া উপজেলার বরমচালের আলীনগর গ্রামের কৃষক সেলিম মিয়া বলেন, ‘আমি ১৬ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ভয়ে পুরোপুরি পাকার আগেই ধান কাটা শুরু করে দিয়েছি।’

কুলাউড়া উপজেলা কৃষি অফিসার জগলুল হায়দার বলেন, ‘ফসল হারানোর ভয়ে কৃষকরা ধান কাটা শুরু করেছেন। চৈত্র-বৈশাখ মাসে এ রকম বৃষ্টি হয়। এতে আশঙ্কার কিছু নেই। এ বছর ফসল অনেক ভালো হয়েছে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. শাহজাহান বলেন, ‘বৃষ্টিতে বোরো ধানের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। এ বছর কৃষকরা ঘরে ফসল তুলতে পারবে বলে আমরা আশা করছি।’

রিপন দে/এসইউ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।