কৃষিবিষয়ক কিছু প্রশ্নোত্তর : শেষ পর্ব


প্রকাশিত: ১২:০৪ পিএম, ১৫ জুন ২০১৭

যারা কৃষি কাজ করেন, তারা এখন অাগের তুলনায় অনেক সচেতন। তারা এখন চাষাবাদের আগে বিভিন্নভাবে জ্ঞান অর্জন করে নেন। জেনে নেন কীভাবে চাষ করলে বা কেমন পরিচর্যা করলে ভালো ফসল পাওয়া যায়। তাই ধান সংক্রান্ত প্রশ্ন নিয়ে আজকের আয়োজন-

প্রশ্ন : ‘আমন মৌসুমে ১৫-২০ দিনের ধানের চারা ১ম বীজতলা থেকে উঠিয়ে পুনরায় ১০-১২টি চারা একত্রে রোপন করা হয়। সেখান থেকে আবার চারা উঠিয়ে প্রধান জমিতে রোপন করা হয়। স্থানীয় ভাষায় এটাকে ‘বলন’ বলা হয়। এতে রোগ বালাইয়ের আক্রমন কম থাকে এবং ধানের শীষ লম্বা হয়। ফসল পুষ্ট হয়। তাই ফলন ভালো আসে।’ এমন করার কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে কি না?

উত্তর : বিভিন্ন এলাকায় ‘বলন’ বলে যে পদ্ধটি আছে তা অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত। যাদের বাড়ি পাহাড়ের পাদদেশে; সেখানে পাহাড়ি ঢলের সম্ভাবনা বেশি। সে ক্ষেত্রে ধানের চারাগুলোকে একটু ‘শক্তকরণ’ করে নেওয়া ভালো। বলন হচ্ছে চারাকে শক্ত করার একটি পদ্ধতি। এতে চারাকে প্রথম বীজতলা থেকে উঠিয়ে ২য় বীজতলায় লাগানো হয়। ২য় বীজতলা থেকে উঠিয়ে জমিতে লাগানো হয়।

এতে ১ম বীজতলা থেকে ২য় বীজতলায় লাগানোর পর যে সব চারা যথাযথ শক্তি সঞ্চয় করতে পারে না, তারা মারা যায় বা দুর্বল হয়ে যায়। শুধু শক্তিমান চারাগুলো বাছাই হয়ে যায়। একটি ধাক্কা খেয়ে চারাটি প্রতিকূল পরিবেশে টিকে যাওয়ার শক্তি সঞ্চয় করে। এমন অবস্থায় যখন জমিতে লাগানো হয়; তখন তুলনামূলকভাবে শক্তিমান থাকে তাই তার মূল ভালোভাবে বিস্তৃত হয়। কাণ্ডের গঠনও ভালো হয়। পোকা ও রোগ প্রতিরোধী হয় তাই রোগ ও পোকার আক্রমন কম হয়। ফলন ভালো হয়।

এ কাজটি যেকোন চারার জন্যই প্রযোজ্য। সবজি, ফলদ বা বনজ গাছের চারার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। সবজি, ফলদ ও বনজ চারার ক্ষেত্রে হার্ডেনিংয়ের অনুশীলন সবসময় এবং সব এলাকায় হয়ে থাকে। তবে ধানের ক্ষেত্রে সব এলাকায় এবং সব মৌসুমে হয় না।

এসইউ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।