বরেন্দ্রে আমন কাটা শুরু : দাম নিয়ে অনিশ্চয়তা


প্রকাশিত: ১১:১০ এএম, ০২ নভেম্বর ২০১৬

বিস্তীর্ণ বরেন্দ্র অঞ্চলের শুরু হয়েছে আমন ধান কাটা। তবে ধান কাটা-মাড়াইয়ের মহাযজ্ঞ শুরু হবে আরো ১৫ দিন পর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে আমন আবাদ। শেষ মুহূর্তে কারেন্ট পোকার আক্রমণ থাকলেও ফলেছে ভালো। কিন্তু ফসল তোলার পর নায্য দাম পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন চাষীরা। রাজশাহী কৃষি দফতরের হিসেবে এবার এই অঞ্চলে প্রায় ১৫ হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ বেড়েছে।

জেলার মোহনপুর উপজেলার মৌগাছি এলাকার কৃষক আশরাফুল ইসলাম জানান, তার এলাকায় আগাম রোপনকৃত ধান কাটা শুরু হয়েছে। শেষ দিকে পোকার আক্রমণ থাকলেও কৃষি দফতরের পরামর্শে তা ঠেকানো গেছে। সব মিলিয়ে ফলে ধানের বাম্পার ফলন প্রত্যাশা করছেন চাষীরা।

জেলার তানোরের রাতইলের চাষী আব্দুল মান্নান জানান, তাদের এলাকায় কিছু কিছু খেতে ধান পেকে গেছে। কাটতেও শুরু করেছেন চাষীরা। তবে পুরোদমে ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হতে আরো অন্তত ১৫ দিন সময় লাগবে।  

গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট এলাকার কৃষক রাইস উদ্দিন বলেন, এবছর পরিমিত বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে খেতে বাড়তি সেচ দিতে হয়নি। ফলে উৎপাদন খরচ অন্যান্যবারের তুলনায় কম হয়েছে। এখন ধানের নায্য দাম পেলেই হয়। ধান চাষ করে বরাবরই লোকসান হচ্ছে উল্লেখ করে এ নিয়ে দুশ্চিন্তা যাচ্ছে না বলে জানান এই কৃষক।

পবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম মনজুরে মাওলা জানান, তারা কয়েক বছর ধরেই কম সেচে আবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছেন। এছাড়া সরকারি উদ্যোগে প্রণোদনাও দেয়া হয়েছে। রোগবালাই দমনে কৃষকদের সময়মত পরামর্শ দিয়ে পাশে রয়েছে কৃষি দফতর।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত-পরিচালক মোহাম্মদ ফজলুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে বরেন্দ্র অঞ্চলে ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৬৬০ হেক্টর জমি আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। চাষ হয়েছে সব মিলিয়ে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫ হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে।

চলতি মৌসুমে রাজশাহীতে ৭৫ হাজার ৩৩০ হেক্টর, নওগাঁয় ২ লাখ এক হাজার ৪৬৫ হেক্টর, নাটোরে ৬৫ হাজার ৪৯০ হেক্টর এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫২ হাজার ৭৪৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। সব জেলায় এবছর ধানের বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা করছে কৃষি দফতর।

এএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।