চারা পেয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা হাওরাঞ্চলের কৃষকদের

লিপসন আহমেদ লিপসন আহমেদ , সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৮:১৬ এএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সুনামগঞ্জে পলি হাউজ পদ্ধতিতে উচ্চ ফলনশীল সবজির চারা উৎপাদন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে সবজি চাষিরা এ হাউজ থেকে আধুনিক জাতের চারা নিয়ে শীতকালীন সবজির চাষ শুরু করেছেন। এতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া কৃষকেরা কম দামে চারা পেয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুনামঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ ইউনিয়নের কৃষক শাহ আলম। ১ একর জমিতে করেছেন পলি হাউজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। আধুনিক এ পলি হাউজে প্লাস্টিক ট্রেপে মাটির পরিবর্তে নারকেলের ছোবড়ায় তৈরি কোকোপিট প্রক্রিয়াজাত ও জীবাণুমুখী করে বীজ রোপণ করা হচ্ছে। সেই সাথে ওপরে সেডনি দিয়ে তাপ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে কৃত্রিম উপায়ে।

এখানে উৎপাদিত চারা ২০ দিন পর রোপণযোগ্য হয়। বিশেষ করে এ হাউজের আধুনিক পদ্ধতিতে তৈরি হওয়া টমেটো, ফুলকপি ও মিষ্টি কুমড়াসহ নানা জাতের চারা এরই মধ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে এসে কৃষকেরা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ৩ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩০ টাকায় প্রতিটি চারা বিক্রি হচ্ছে।

চারা পেয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা হাওরাঞ্চলের কৃষকদের

পলি হাউজের মালিক ও কৃষক শাহ আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘অতিবৃষ্টি ও অকাল বন্যায় চারা রাখতে পারছেন না চাষিরা। এ কারণে এই বিকল্প চিন্তা। এরই মধ্যে টমেটো, ফুলকপিসহ প্রায় ৪ লাখ টাকার চারা কৃষকদের কাছে বিক্রি করেছি।’

এদিকে চলতি মৌসুমে প্রায় ২ লাখ কৃষক সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলায় শীতকালীন সবজি চাষ শুরু করেছেন। তবে অন্য বছর থেকে এই বছর সহজেই সবজির চারা পাওয়ায় একদিকে যেমন খুশি; অন্যদিকে এ পলি হাউজে প্রায় ৪৫ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে।

চারা পেয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা হাওরাঞ্চলের কৃষকদের

হাওরের কৃষক সোনাই মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘আধুনিক পদ্ধতির সবজির চারা কৃষকদের অনেক কাজে লাগছে। এরই মধ্যে জেলার অধিকাংশ কৃষক এ চারা দিয়ে শীতকালীন সবজির চাষ করছেন।’

সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আধুনিক পক্রিয়ায় তৈরি হওয়া এসব চারা উৎপাদনের মাধ্যমে জেলার ১২ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে। সেই সঙ্গে ভাটির জেলায় আর কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে প্রায় হাজার কোটি টাকার সবজি উৎপাদিত হবে।’

এসইউ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।