পাহাড়ে অ্যাভোকাডো চাষে সফল ওমর শরীফ

এম মাঈন উদ্দিন
এম মাঈন উদ্দিন এম মাঈন উদ্দিন , উপজেলা প্রতিনিধি, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
প্রকাশিত: ১২:৩৩ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পাহাড়ের সবুজ গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে বিদেশি ফল অ্যাভোকাডো। গাছের পাতা আর ফলের রং একই। পরিপক্ব ফল গাছ থেকে কয়েক দিনের মধ্যে সংগ্রহ করবেন বাগান মালিক। নির্জন পাহাড়ে বিদেশি এই ফল প্রথমবার দেখে অবাক হচ্ছেন অনেকেই।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে প্রথমবারের মতো পশ্চিমা ফল অ্যাভোকাডোর পরীক্ষামূলক চাষ করে সফল হয়েছেন তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মো. ওমর শরীফ। ২০২২ সাল থেকে গাছে ফলন আসতে শুরু করেছে। আগামীতে তিনি চাষের পরিধি বাড়ানোর পাশাপাশি চারা বাজারজাত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

দেশে যেসব বিদেশি ফলের চাষ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে, তার মধ্যে অ্যাভোকাডো অন্যতম। এটি অন্য ফলের তুলনায় মিষ্টতা কম হওয়ায় ডায়াবেটিস রোগির জন্য খুবই উপযোগী। এ ফলের আকার অনেকটা পেয়ারা বা নাশপাতির মতো। একেকটা ফলের ওজন প্রায় ৪০০-৮০০ গ্রাম। ফলের ভেতরে বেশ বড় ডিম্বাকার বীজ থাকে।

পাহাড়ে অ্যাভোকাডো চাষে সফল ওমর শরীফ

আহার্য অংশ মাখনের মতো মসৃণ, হালকা মিষ্টি স্বাদের। পেঁপের মতো কাঁচা-পাকা ফল, সবজি, ভর্তা, সালাদ, শরবতসহ বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। টোস্টে মাখনের পরিবর্তে অ্যাভোকাডো ক্রিম দিয়ে খাওয়া যায়। এছাড়া সালাদ ও স্যান্ডুইচে মেয়নেজের পরিবর্তে অ্যাভোকাডোর ক্রিম দিয়ে আহার করা স্বাস্থ্যসম্মত।

আরও পড়ুন

জোহরা এগ্রো ফামর্স অ্যান্ড নার্সারিতে গিয়ে দেখা গেছে, গাছের মধ্যে থোকায় থোকায় ঝুলছে অ্যাভোকাডো। ওমর শরীফের বাগানে আছে অনেক দেশি-বিদেশি ফল গাছ। আছে বিশ্বের দামি মিয়াজাকি কিউজাই, ব্যানানা ম্যাংগো, ইন্দোনেশিয়ান ব্রুনাই কিং, কিং অব চাকাপাত, আলফেনসো, আলফানচুন, থাই ব্যানানা। আছে দারচিনি, লবঙ্গ, পুলসান, রাম্বুটান, আপেল, তেঁতুল, থাই সফেদা, চেনাক ফ্রুট, থাই বেরিকেডেট মাল্টা, বারোমাসি মাল্টা, চাইনিজ কমলা, দার্জিলিং কমলা, চায়না-৩ লিচু, লটকন, ভিয়েতনামি ও শ্রীলংকান নারিকেল।

পাহাড়ে অ্যাভোকাডো চাষে সফল ওমর শরীফ

নার্সারির মালিক মো. ওমর শরীফ বলেন, ‘কয়েক বছর পূর্বে ইন্দোনেশিয়া থেকে ১০ পিস অ্যাভোকাডো গাছের চারা সংগ্রহ করে বাগানে লাগানো হয়। ২০২২ সাল থেকে কয়েকটি গাছে ফলন আসতে শুরু করে। এ বছরও গাছে ফলন এসেছে। শিলাবৃষ্টির কারণে গত বছরের তুলনায় ফলন কম হয়েছে। আমার নার্সারিতে থাইল্যান্ড থেকে সংগ্রহ করা অ্যাভোকাডো চারা বিক্রি করা হচ্ছে।’

মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ‘উপজেলার পাহাড়ে বিদেশি ফল অ্যাভোকাডো চাষ করছেন তরুণ উদ্যোক্তা ওমর শরীফ। এখনো যাওয়া হয়নি, গিয়ে দেখে আসবো। এখন অনেকে বিদেশি পুষ্টিকর ফলের চাষ করেন। অ্যাভোকাডো ফল পুষ্টিগুণে ভরা। এ ফল বিভিন্ন রোগ-প্রতিরোধ করে। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্তদের পথ্য হিসেবে কার্যকর।’

এমএমডি/এসইউ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।