তামাক চাষে জমি ও স্বাস্থ্যের ক্ষতি

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৩ এএম, ৩১ মে ২০২৪

দরিদ্র কৃষক নগদ অর্থসহ বিশেষ সুবিধা পাওয়ায় তামাক চাষে উদ্ধুদ্ধ হচ্ছেন। এই তামাক পাতা শুকানো হচ্ছে বাড়ির উঠান, রাস্তার পাশ ও বাগানসহ বিভিন্ন স্থানে। ফলে এলাকার পরিবেশেও তামাকের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। নানা রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি নিয়ে বাস করছে সব বয়সী মানুষ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো সূত্রে জানা যায়, দেশে প্রায় ৯২ হাজার ৩২৬ মেট্রিক টন তামাক উৎপাদন হয়। এই পরিমাণ তামাক উৎপাদনে প্রায় ২৫টি জেলায় ১ লাখ ৩৮৫ একর জমি ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজবাড়ী, নেত্রকোণা, চুয়াডাঙ্গা, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারী, রংপুর, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি প্রভৃতি জেলায় তামাক চাষ করা হয়।

কার্তিক মাসে তামাক চাষ শুরু করে চৈত্র-বৈশাখ মাস পর্যন্ত সম্পন্ন হয়। বিঘাপ্রতি জমিতে সব মিলিয়ে চাষির প্রায় ৮ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়। সেখান থেকে প্রায় ৭-১০ মণ তামাক পান তারা। যার মূল্য প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। বর্তমানে ৬০ কেজির বেল্ট করে কোম্পানির এজেন্টের কাছে বিক্রি করেন তারা।

আরও পড়ুন
কাজুবাদাম কোথায় কখন চাষ করবেন?
সূর্যমুখীর বীজ থেকে তেল বিক্রিতে লাভ বেশি

চাষিরা বলছেন, ‘তামাকে শারীরিক ক্ষতি হয়, সেটা জানি। তবে অন্য ফসলের চেয়ে লাভজনক হওয়ায় চাষ করছি। একটি টোব্যাকো কোম্পানি থেকে চাষের জন্য নগদ টাকা, সারসহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হয়।’

ভুক্তভোগীরা বলছেন, ‘তামাকের গন্ধে পাশ দিয়ে যাওয়া যায় না। স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। ভালোভাবে নিশ্বাস নেওয়া যায় না। সরকারের উচিত তামাক চাষ ও কোম্পানি বন্ধ করে দেওয়া। যেখানে তামাক চাষ হয়; সেখানকার মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়ে যায়।’

তবে প্রচুর সুবিধা পাওয়ার লোভে কৃষকেরা তামাক চাষ করছেন। তামাক চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি সারসহ অন্যান্য সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া উচিত। চাষিদের মাটির ক্ষতির বিষয়েও বলা জরুরি। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ না থাকায় ক্ষতির দিক তুলে ধরে কৃষকদের তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করা দরকার।

এসইউ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।