নার্সারি শ্রমিক নূর ইসলাম এখন সফল আম চাষি

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি বেনাপোল
প্রকাশিত: ০৮:৪৯ এএম, ০৮ মে ২০২৪

যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের পিঁপড়াগাঁছী গ্রামে বারি-১১ জাতের আম চাষে অবিশ্বাস্য সাফল্য পেয়েছেন উত্তর পাড়ার মরহুম নৈমুদ্দীন সদ্দারের ছেলে নূর ইসলাম সদ্দার। তিনি ২৩ বছর ধরে নার্সারি কাজের সঙ্গে যুক্ত।

জানা যায়, প্রথমে বিভিন্ন নার্সারিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন নূর ইসলাম। পরে নিজের বাড়ির এক খণ্ড জমিতে ফলদ নার্সারি গড়ে তোলেন। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আম গবেষণা কেন্দ্র চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে নতুন উদ্ভাবিত বারি-১১ জাতের আমের চারা সংগ্রহ করেন। সেই চারা থেকে প্রথম বছরেই সাইন (ডাল) দিয়ে ২ হাজার ২০০ চারা উৎপাদন করেন।

২০১৯ সালে ১০ বছরের জন্য ৬ বিঘা জমি লিজ নেন। নিজের ৩ বিঘা ও লিজ নেওয়া ৬ বিঘা জমিতে আমের চারাগুলো রোপণ করেন। এর মধ্যে ৬ বিঘা জমিতে বারি-১১ ও ৩ বিঘা জমিতে কাটিমন আমের চারা রোপণ করেন। চারা রোপণের ২ বছর পরই ফল আসতে শুরু করে।

নার্সারি শ্রমিক নূর ইসলাম এখন সফল আম চাষি

আরও পড়ুন

নূর ইসলাম জানান, চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে আম পারতে শুরু করেছেন তিনি। প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ৩৫ মণ আম হয়েছে। প্রতি কেজি আম বাগান থেকে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা দরে। বর্তমানে ১ বিঘা জমি থেকে তার এক মৌসুমে আয় ৫৬ হাজার টাকা। ৩ মৌসুমে আয় হবে প্রায় ১ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।

নার্সারি শ্রমিক নূর ইসলাম এখন সফল আম চাষি

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে তার আম সংগ্রহ করছেন ব্যবসায়ীরা। কুরিয়ারের মাধ্যমে আম ও আমের চারা পাঠাচ্ছেন বাগান মালিক নূর ইসলাম। অসময়ে মিষ্টি আমের সংবাদ শুনে দূর-দূরান্ত থেকে আম বাগান পরিদর্শনে আসছেন অনেকেই।

উপজেলা কৃষি অফিসার দিপক কুমার বলেন, ‘অসময়ে আম উৎপাদন একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। তাই আমি নিয়মিত নূর ইসলামের বাগানের খোঁজ রাখি ও পরামর্শ দিচ্ছি। নূর ইসলামের মতো কৃষক আমাদের গর্ব। যদি কেউ নতুন ফল ও ফসল উৎপাদন করতে চান, আমরা সব সময় তাদের পাশে আছি।’

মো. জামাল হোসেন/এসইউ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।