বিষখালী নদীর তীরে তরমুজের বাম্পার ফলন
ঝালকাঠির রাজাপুরের বিষখালী নদীর চর এলাকাজুড়ে প্রায় ১২০ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছে। কৃষকরা তরমুজ বিক্রি করতে শুরু করেছেন। ভালো দামও পাচ্ছেন।
তরমুজ চাষি নুরুল হক, জলিল মোল্লা, মনির মোল্লা, কাঞ্চন মোল্লা, সেফায়েতসহ একাধিক কৃষক জানান, প্রায় তিনমাস আগে উপজেলার পূর্ব প্রান্তে বিষখালি নদীর চর এলাকাজুড়ে ২০ জন কৃষক মিলে ১২০ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করেন। এ বছর ওই এলাকায় কোনঘ বৃষ্টি না হওয়ায় ফলন কিছুটা কম হয়েছে। তবে সেচ পাম্পের দ্বারা পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ বছর প্রতি বিঘা জমিতে শ্রমিক, ঔষধ ও সেচ খরচসহ প্রায় ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে যে ফলন হয়েছে তাতে ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে ২ লক্ষাধিক টাকার তরমুজ বিক্রি করা যাবে বলে তারা আশা করছেন।
আরও পড়ুন
তরমুজ চাষি নুরুল হক আরও জানান, তরমুজ বিক্রির সময় হওয়ায় রাজাপুর সদরের হাট বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসাযীদের সবাইকে ক্ষেত থেকে তরমুজ কিনে নিতে বললেও তারা তরমুজ কিনতে ক্ষেতে যায়নি। কারণ তারা কৃষকদের জিম্মি করে খুব সস্তায় তরমুজ কেনার আশায় বসে ছিলেন। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় কয়েকজন কৃষক মিলে গাড়ি ভাড়া করে তরমুজ ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করছেন। ঢাকায় প্রতি কেজি তরমুজ ৪০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করছেন। প্রতিটি তরমুজে ৪ থেকে ৮ কেজি ওজন রয়েছে। কোন কোন তরমুজে এর চেয়ে বেশি ওজনও হচ্ছে। এতে কৃষকরা দামও ভালো পাচ্ছেন।
এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ভালো দাম না দিলে কৃষকরা এলাকায় তরমুজ বিক্রি করবেন না বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসা. শাহিদা শারমিন আফরোজ বলেন, এই বছর উপজেলায় মোট ৩৫হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১৫০ টন তরমুজ উৎপাদন হবে। কৃষি বিভাগ সবসময় কৃষকের পাশে থেকে সব ধরনের সার্বিক সহযোগিতা করেছে।
আরও পড়ুন
আতিকুর রহমান/ কেএসকে/জেআইএম