ভার্মি কম্পোস্টে বেকারত্ব দূর হলো রেজাউলের
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া এলাকার তরুণ কৃষক মো. রেজাউল ভার্মি কম্পোস্ট সার (কেচো সার) উৎপাদন করে এখন সফল ও স্বাবলম্বী। উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনে মনোনিবেশ করেন তরুণ এ উদ্যোক্তা।
কৃষক মো. রেজাউল বলেন, ‘নলছিটি কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ২০২০ সালে এসএসিপি প্রকল্পের একটি প্রদর্শনী দিয়ে ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন শুরু করি। সেই সময় ৬০০ টাকা প্রথম বিক্রি করি। এরপর থেকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে প্রতি মণ সার ৫০০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি করি। প্রতি কেজি কেঁচোর দাম ৮০০-১০০০ টাকা বিক্রি করছি। কৃষিকাজে এ সার ব্যবহার করে বেশি ফসলও পাচ্ছি। যে কারণে আমি স্বাবলম্বী হতে পেরেছি।’
সার উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘গ্রাম থেকে গোবর সংগ্রহ করে ২০-২৫ দিন এক স্থানে রেখে পরে হাউজ ও চাড়িতে দেওয়া হয়। এরপর কেঁচো ছেড়ে দিতে হয়। এই গোবর কেঁচো বেশি খায়, তাই সারও বেশি হয়।’
আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে হাইব্রিড টমেটোর বাম্পার ফলন
উপজেলা কৃষি অফিসার সানজিদ আরা শাওন বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে চাড়ির সংখ্যা বাড়াচ্ছেন কৃষক রেজাউল। তার চাড়ির সংখ্যা প্রায় ২০টি। সেখানে প্রায় পঞ্চাশটি চাড়ির গোবর রাখা যায়। পাশাপাশি তিনি কেঁচো সরবরাহ করেন।’
তিনি বলেন, ‘তার দেখাদেখি এখন গ্রামের অনেকেই এ সার উৎপাদন ও ব্যবহার করছেন। গ্রামটিকে ‘ভার্মি গ্রাম’ নামকরণ করেছি। আগামীতেও কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ ধরনের উদ্যোক্ত্যাদের সার কৃষি অফিস কিনছে।’
ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এই সার উৎপাদন ও ব্যবহারকারীদের উৎসাহিত করতে উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে কেঁচো সার কেনা হয়। বিভিন্ন প্রদর্শনীতে বিনা মূল্যে কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।’
আরও পড়ুন: পড়াশোনার পাশাপশি স্কোয়াস চাষে সফল মনজুরুল
তিনি বলেন, ‘রেজাউলের দেখাদেখি এখন টুলু বেগম, জামাল, রায়হান, রশিদ রাড়ি, মুরাদ হোসেন, কালামসহ প্রায় ৩০টি পরিবার মডেল ভার্মি কম্পোস্ট সার (কেঁচো সার) উৎপাদন করে নিজের জমিতে ব্যবহার করছেন। এছাড়া এ সার কৃষকের কাছ থেকে সারের দোকান ও কৃষি অফিস কিনে থাকে।’
মো. আতিকুর রহমান/এসইউ/এসএম