অনাবাদি জমিতে চাষ
শায়েস্তাগঞ্জে বারোমাসি তরমুজে সফল ২ বন্ধু
অডিও শুনুন
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে অনাবাদি জমিতে বারোমাসি তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন ইয়াকুব আলী ও ফয়েজ মিয়া। উপজেলার নুরপুর ইউনিয়নের নছরতপুর গ্রামের ২ বন্ধু ২২ বিঘা অনাবাদি জমিতে ব্ল্যাক সুইট-২ জাতের বারোমাসি তরমুজ চাষ করেন। বৃষ্টিতে কিছুটা ক্ষতি হলেও বাম্পার ফলন হয়েছে। ২০ হাজার পিস তরমুজ তারা বিক্রি করেছেন।
জানা যায়, কৃষক ইয়াকুব আলী হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার শিবনগর গ্রামের ইউছুফ আলীর ছেলে এবং ফয়েজ মিয়া একই উপজেলার সাতপাড়িয়া গ্রামের মিয়াব আলীর ছেলে। দুজনে মিলে এক বছরের জন্য ২ লাখ টাকায় লিজ নিয়ে তরমুজ চাষের উদ্যোগ নেন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে তিন মাসে খরচের চারগুণ লাভ
কৃষক ফয়েজ মিয়া জানান, তারা কৃষক পরিবারের সন্তান। কৃষিকাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। বিভিন্ন ধরনের ফসল তারা সফলতার সঙ্গে উৎপাদন করে আসছেন। ২২ বিঘা জমিতে বারোমাসি তরমুজ চাষে ৭ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বিক্রি হয়েছে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টাকা।
ফয়েজ মিয়া বলেন, ‘আমাদের এ প্রজেক্টের কারণে স্থানীয় ৩০-৪০ জন শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, আমরা এ কাজ করে সরকারি কোনো অনুদান এবং ঋণ সুবিধা পাচ্ছি না। কৃষিকাজ চালিয়ে যেতে সরকারি সহায়তা ও সহজ ঋণ সুবিধা পাওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: চায়না কমলা চাষে সফল শরীয়তপুরের খলিল
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘দুই উদ্যোক্তা ইয়াকুব আলী ও ফয়েজ মিয়া আত্মবিশ্বাস নিয়ে ২২ বিঘা অনাবাদি জমিতে ব্ল্যাক সুইট-২ জাতের বারোমাসি তরমুজ চাষ করেন। কৃষি অফিস থেকে তাদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তরমুজের বাম্পার ফলন হওয়ায় তাদের খরচ উঠে আরও ৩-৪ লাখ টাকা লাভ হবে। আমরা চাই কোনো জমিই যাতে অনাবাদি না থাকে। কৃষি উদ্যোক্তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতার মাধ্যমে কৃষিতে বিপ্লব ঘটানোই আমাদের লক্ষ্য।’
কামরুজ্জামান আল রিয়াদ/এসইউ/এএসএম