পোষা পাখির ঠান্ডা রোধে করণীয়
শীত আসতে শুরু করেছে। এই সময় পোষা পাখিদের ঠান্ডার প্রকোপ বাড়ে। সুতরাং আগে থেকে কিছু প্রস্তুতি নিলে পাখিদের ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন সমস্যা বা রোগ থেকে রক্ষা করা সহজ হবে। তাই আসুন জেনে নিই শীত এলে পোষা পাখির ঠান্ডা রোধে কী করবেন-
ঠান্ডা রোধে করণীয়
১. পাখির খাঁচা যে রুমে থাকে, তার তাপমাত্রা কোনোভাবেই ৬৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামতে দেওয়া যাবে না।
২. পাখির খাঁচা এমন জায়গায় রাখতে হবে, যাতে সরাসরি ঠান্ডা বাতাস না লাগে। শৈত্য প্রবাহ চলাকালীন ঘরের জানালা-দরজা ঠিকভাবে বন্ধ রাখতে হবে।
৩. যারা বারান্দায় পাখি রাখেন, তাদের অবশ্যই বারান্দা পলিথিন বা তাবুর কাপড় বা ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রজাপতির রঙিন পাখায় ভর করে একদিন
৪. প্রতিদিন পাখির খাঁচা ২-৩ ঘণ্টা এমনভাবে রোদে রাখুন, যাতে খাঁচার একপাশে রোদ লাগে এবং অন্যপাশে ছায়া থাকে।
৫. ঠান্ডা বেশি হলে খাঁচার বাইরে একটি ৬০ ওয়াটের বাল্ব বা হারিকেন রাখুন। পাখিকে গরম রাখার জন্য কোনোভাবেই আগুন বা কয়লা ব্যবহার করবেন না। যা পাখির জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে।
৬. কিছু রুম হিটার এবং এনিম্যাল হিটার আছে, যা ব্যবহার করা নিরাপদ। তবে অবশ্যই সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে এবং পাখির খাঁচা থেকে দূরে স্থাপন করতে হবে।
৭. রাতের বেলা পাখির খাঁচা অবশ্যই মোটা কাপড় বা হালকা কম্বল দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, যাতে বাতাস চলাচলের জন্য কিছু জায়গা থাকে।
আরও পড়ুন: শামীমের ছাদ বাগানে ৮০ রকমের মরুর গোলাপ
৮. মধু, আদা, তুলসি পাতা, পুদিনা পাতা এবং অপরিশোধিত অ্যাপল সিডার ভিনেগার পাখির ঠান্ডা প্রতিরোধ করে এবং পাখির ঠান্ডার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
৯. পাশাপাশি নিয়মিত টাটকা শাক-সবজি ও ফল-মূল পাখির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তুলসির দ্রবণ প্রতি ২ সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহার করা যাবে।
১০. প্রাথমিক চিকিৎসায় তুলসি দ্রবণ, কাচা তুলসি পাতা, পুদিনা পাতা একটানা ৫-৭ দিন দিতে হবে। এতে ঠান্ডা না কমে হাপানি বা লেজ ওঠানামা হলে বিআরএজিজি এসিভি মেশানো পানি একটানা ৭ দিন দেবেন।
১১. শীতকালে পাখির সিডমিক্সে তেল জাতীয় বীজ যেমন তিল বা গুজি তিল, সূর্যমুখীর বীজ, ক্যানারির পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। সিডমিক্সে কিছু সরিষা দানা যোগ করুন।
এসইউ/এমএম