জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আলোকচিত্র প্রদর্শনী
পার্বত্য চট্টগ্রামের বন, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি রক্ষায় সচেতনতা বাড়ানোর জন্য খাগড়াছড়িতে ৫ দিনব্যাপী ‘সেভ দ্য বায়োডাইভার্সিটি অব হিল ট্রাক্টস’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। আগামী শনিবার খাগড়াছড়ির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে প্রদর্শনী শুরু হয়ে চলবে বুধবার পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।
শনিবার পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়ির দুই আলোকচিত্রী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা ও সাংবাদিক সমির মল্লিকের তোলা ৫১টি ছবি নিয়ে প্রদর্শনী শুরু হবে।
পাঁচ দিনব্যাপী প্রদর্শনীতে বেশ কিছু বিরল পাখি ও বন্যপ্রাণীর ছবি স্থান পাবে। আলোকচিত্রী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা জানান, দর্শনার্থীরা পার্বত্য চট্টগ্রামের সমৃদ্ধ প্রকৃতি ও প্রাণী সম্পর্কে জানতে পারবেন। তিন পাহাড়ি জেলা থেকে তোলা অনেক ছবি প্রথমবাবের মতো দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: কৃষিভিত্তিক পর্যটন প্রান্তিক পর্যায়ে বড় অর্থনীতির সহায়ক
আলোকচিত্রী সমির মল্লিক বলেন, ‘প্রকৃতি বাঁচলেই মানুষ বাঁচবে। পাখি, বন্যপ্রাণী ও প্রাণ প্রকৃতির অন্যতম উপাদান। বনভূমির পরিমাণ কমে আসার কারণে পাখির আবাসস্থল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে অনেক পাখি আর দেখা যায় না। একসময় পাহাড়ে ধনেশ পাখির বিচরণ থাকলেও এখন প্রায় বিপন্ন। হাতিসহ অনেক বন্যপ্রাণী বিলুপ্তির পথে। এ ধরনের প্রদর্শনী মানুষের মাঝে পাখি ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় সচেতনতা বাড়াবে।’
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক জিতেন চাকমা বলেন, ‘আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান থেকে তোলা বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, বন্যপ্রাণী ও নিসর্গের ছবি স্থান পাবে। এ ধরনের প্রদর্শনী দর্শনার্থী শিল্পমনের তৃষ্ণা মেটাবে। একই সঙ্গে প্রাণ ও প্রকৃতি রক্ষায় সচেতনতা তৈরি করবে।’
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এসইউ/জেআইএম